নিজস্ব প্রতিবেদক: বন্দরনগরী চট্টগ্রামে হচ্ছে বিরতীহীন বৃষ্টি। এই ভারী বৃষ্টিতে শংকা জাগিয়েছে ভুমি ধ্বসের। তার উপর লঘুচাপেরও প্রভাব। তাই চট্টগ্রাম মহানগরীর অভ্যন্তরে ঝুঁকিপূর্ণ ১৭ টি পাহাড় এবং বায়েজিদ -ফৌজদারহাট সিডিএ লিংক রোড এলাকায় পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ এনডিসির নির্দেশে আজ সকাল থেকেই চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেনের তত্ত্বাবধানে মহানগরীর সহকারী কমিশনার (ভূমি) গণ করোনাকালীন সময়ে নতুন ঝুঁকিপূর্ণ ১৬ টি পাহাড়ের লোকজনকে অপসারণ করতে মাইকিং করা হয়।
আজ দুপুর থেকে কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ তৌহিদুল ইসলামস্থানীয় আকবর শাহ থানা পুলিশের উপস্থিতিতে পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা থেকে লোকজনকে অপসারণ করতে আকবর শাহ থানাধীন ফিরোজ শাহ এলাকার ঝিল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে কাট্টলী সার্কেলাধীন ফয়েজ লেক সংলগ্ন ঝিল-১,২ ও ৩ নং এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ি বসতি থেকে ১০০ টির মতো পরিবারকে অপসারণ করা হয়েছে। তাছাড়া অপসারণ করা পরিবারের মধ্যে ৩০টি পরিবারকে ফিরোজ শাহ পি-ব্লক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য,ফয়েজ লেক ও আশেপাশের এলাকার প্রায় ৩৩৬ একরের মতো জায়গা কনকর্ড গ্রুপকে রেলওয়ে বিনোদন পার্ক হিসেবে ব্যবহারের জন্য লীজ দিয়েছিল। ২০১৭ সালে রেলওয়ে কনকর্ড গ্রুপের সাথে লীজ বাতিল করে। যার বিরুদ্ধে মহামান্য হাইকোর্টে রীট দায়ের করে কনকর্ড গ্রুপ। ঐ রীটে মহামান্য হাইকোর্ট Status-Quo জারি করে। এরপর ফয়েজলেক এলাকার চারদিকের পাহাড়ি জমিতে স্থানীয়রা অপদখল চালায়। লীজ গ্রহীতা কনকর্ড গ্রুপ ও রেলওয়ের নজরদারির ঘাটতিতে ঝিল এলাকায় পাহাড়ি জমি কেটে অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে।
উচ্চ আদালতে রীটটি এখনো অনিষ্পন্ন থাকায় রেলওয়ে কিংবা কনকর্ড গ্রুপের পক্ষ থেকে সময়োচিত পদক্ষেপ-ও গ্রহণ করা হচ্ছে না। ঝিল এলাকায় বিভিন্ন স্বনামধন্য এনজিও সংস্থাও কাজ করছে। ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়েই এনজিও-র অর্থায়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে নানা প্রকল্প। নির্মাণ করা হয়েছে ঘর, স্কুল, স্যানিটারি টয়লেট। এমনকি আজকে পরিদর্শনের সময় স্থানীয়রা জানায় ঝিল এলাকায় জাইকার অর্থায়নে ওয়াসার পক্ষ থেকে সুউচ্চ পাহাড়ি এলাকায় সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে।