চিটাগাং মেইল : চট্টগ্রাম নগরীতে নামি দামী ও বাহারী রেস্টুরেন্টের অভাব নেই। বাহারের অভাব না থাকলেও মান যে কতটুকু বজায় আছে তা ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে উঠে আসে সেই চিত্র বারবার।রেস্টুরেন্ট গুলো মানুষের পকেট কেটে কি তুলে দিচ্ছে খাবারের প্লেটে? কখনো তেলাপোকা সমেত সুপ, কখনো পঁচা বাসি খাবার, কখনো পোঁড়া তেলে ভাজা মচমচে খাবার।
চট্টগ্রাম শহরের নামি দামী রেস্টুরেন্ট, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, আলো আধারী লাইটিং এর বাহারের ধাঁধাঁয় মানুষ যাচাই বাছাই না করে কিনে খাচ্ছে অখাদ্য। এমনিই এক নামি দামী রেস্টুরেন্ট নগরীর মমিন রোডের সাফরান রেস্টুরেন্টের ফ্রিজে মিলল বাসি ভাত, মাংস ও সবজি। যা অনেকটা “বাইরে ফিটফাট ভিতরে সদরঘাট”র মত অবস্থা।
বৃহস্পতিবার ২২ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২ টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগরীর মোমিন রোড এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরী।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরী জানান, চট্টগ্রাম নগরীর বেশির ভাগ সাধারন ও নামি দামি রেস্টুরেন্টের খাবারের মান নিয়ে ভোক্তাদের নানা অভিযোগ থাকে। আজকে মোমিন রোডস্থ সাহেব মিয়া মার্কেটের ৩য় তলায় অবস্থিত সাফরান রেস্টুরেন্টে গিয়ে দেখা যায়। ফ্রিজে রাখা আছে রান্না করা বাসি ভাত। বাসি মাংস ও সবজি । বিক্রির উদ্দেশ্য এসব রাখা আছে। যা ভোক্তাদের সাথে প্রতারণার সামিল। এসব অপরাধ আমলে নিয়ে রেস্টুরেন্টটিকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৫৩ ধারায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করা হয় এবং সতর্ক করা হয়।
তিনি আরও জানান, এছাড়া শারীরিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে রেস্টুরেন্টে আগত অতিথি ও কর্মচারীদের সচেতন করা হয়।
জনস্বার্থে এ সকল অনিয়মের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরী।