[english_date] | [bangla_day]

ঐতিহ্যবাহী মেজবানি এখন ইফতারের অন্যতম আইটেম

যিকরু হাবিবীল ওয়াহেদ

চট্টগ্রামের মেজবানি গরুর মাংস একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার এতদঞ্চলসহ সারাদেশে। বিশেষ করে আত্মীয় স্বজন মুরুব্বিদের ফাতেহায়,ওরশ শরীফ, মিলাদ মাহফিলে, সামাজিক আচার অনুষ্ঠানে, ক্লাব সংস্থা সংগঠন কিংবা কর্পোরেট মিলনমেলায় মেজবান আয়োজন করা অপরিহার্য অনুষঙ্গ বৃহত্তর চট্টগ্রামে।
চট্টগ্রামের দেখায় দেখায় রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে এই মেজবান আয়োজন ছড়িয়ে পড়েছে।
বিশ্বে যেখানে চট্টগ্রামের মানুষ তথা বাঙালি বসবাস সেখানেও মেজবানির আয়োজন চোখে পড়ে। এককথায় মেজবানি এখন বাঙালি ঐতিহ্যের অংশ।

সময়ের পরিক্রমায় মেজবানি মাংস এখন শুধু ফাতেহা আচার অনুষ্ঠান কিংবা বড় কোন আয়োজনে সীমাবদ্ধ নেই।
প্রায় দশক আগে থেকে বাণিজ্যিকভাবে রেস্টুরেন্ট হোটেলে শুরু হয় মেজবানি মাংস বিক্রি।
নগরীর একেক হোটেল একেক দিন আস্ত গরু জবাই করে খুব ঘটা করে বিক্রি করে মেজবানি মাংস।
জনপ্রতি প্যাকেজ, ফ্যামিলি প্যাকেজসহ বাহারী নামে বিক্রি হয় মেজবানি মাংস।

এখন কয়েক বছর যাবত চট্টগ্রামে ইফতার আয়োজনেও দেখা মিলছে মেজবানি মাংসের।
হোটেল রেস্টুরেন্টে ইফতারের অন্যান্য আইটেমের সাথে পাওয়া যায় মেজবানি মাংস।
নগরীর মধ্যম এবং উচ্চ মানের হোটেল রেস্টুরেন্টে কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে মেজবানি মাংস।

নগরীর আগ্রাবাদ ওয়াসা জিইসি জামালখান চকবাজার মুরাদপুর ঘুরে দেখা যায় বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে ঐতিহ্যবাহী মেজবানি মাংস বিক্রি করতে।
মুরাদপুর জামান হোটেলে মেজবানি মাংস কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকা। স্টেডিয়ামপাড়ার রোদেলা বিকেলে কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ টাকা। বারকোড গ্রুপের মেজ্জান হাইলি আইয়্যুনে কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকা।
এভাবে অক্সিজেন বহদ্দারহাটসহ শহরের বিভিন্ন স্পটে বিক্রি হচ্ছে মেজবানি মাংস।
মহিউদ্দিন চৌধুরী জিকু নামক একজন ক্রেতা জানান, মেজবানি মাংস চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী খাবার এবং সুস্বাদুও বটে। তাই ইফতারে মেজবানি মাংস রাখার চেষ্টা করি।
রেস্টুরেন্ট উদ্যোক্তা ইঞ্জিনিয়ার সেলিম বলেন,
মেজবানি চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী খাবার। মেজবানি মাংস বিক্রি দিন দিন বাড়ছে। তাই ইফতার আইটেমেও মেজবানি মাংস বিক্রি করছি আমরা। যাতে রোজাদাররা তৃপ্তি সহকারে ইফতারে মেজবানি মাংস খেতে পারেন।

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

পাঠক প্রিয়