নিজস্ব প্রতিবেদক: বাঁশখালির বৈলছড়ি ইউনিয়নের চেচুরিয়ায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ৮ নং ওয়ার্ডের সহ সভাপতি সোহেল মাহমুদ এর বাড়িতে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জামি সংক্রান্ত বিরোধ ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই হামলা হয়েছে
সূত্র জানায় ২১ শে ফেব্রুয়ারি জুমার নামাজের সময় শাহরিয়ার নেতৃত্বে, রফিক আহমেদ, মাহমুদুল হাসান সহ কতিপয় ব্যাক্তি কতৃক হামলা করা হয়েছে মর্মে এই সূত্রে জানা যায়। হামলার সময় মাহমুদ মসজিদে ছিলো, এবং মাহমুদের বড় বোনা তছলিমা সহ পরিবারের বেশ কিছু সদস্য সন্ত্রাসী হামলায় আহত হয়।
এই ঘটনার পর মাহমুদের বড় বোন তছলিমা বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নালিশী মামলা নং ৩২৮/২০২৫ইং দায়ের করেন।
সোহেল মাহমুদ বলেন- ামলার নালিশী দরখাস্ত সূত্রে জানা যায়- ভিক্টিমের পৈত্রিক বি.এস রেকর্ডিয় ভিটা ও তদস্থিত গৃহে
সোহেল মাহমুদ বলেন- আমার পৈত্রিক বসতবাড়ি শান্তি পূর্ণ ভোগ দখলে স্থিত আছে বি এস রেকর্ড পর্যন্ত আমার পিতা রহিম বক্সের নামে চুডান্ত লিপি আছে, প্রতিপক্ষের সাথে আমার দেওয়ানী মোকাদ্দমা চলমান আছে আমি আইন আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আসামীগণ ভূমিদস্যু, জুলুমবাজ, লাঠিয়াল। তারা আইন আদালতের উপর আস্তাশীল নয় তাই তারা আমাদের ভুমি জোর পূর্বক দখল করতে চায়। তাই তারা ঘরে পুরুষদের অনুপুস্থিতে জুমার নামাজের সময় হামলা করে, বাঁধা দিতে চাইলে লোহার রড দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার বোনকে যখম করে। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গত ২৪ফেব্রুয়ারিত ২০২৫ খৃষ্টাব্দ বিজ্ঞ আদালতে দন্ড বিধি আইনের ১৩৭/৪৪৭/৩২৩/৩২৫/৩০৭/৩৮৭/৪২৭/৫০৬(২) ধারায় মামলা করা হয়েছে।
অভিযুক্তরা হলেনঃ আরাফাত হোসেন শাহরিয়ার (৩২) পিতা মৃত নুরুল ইসলাম, মাহমুদ হোসেন (৩৬) পিতা মৃত নজির আহমদ, রফিক আহমদ (৪৫) পিতা মৃত হাবিবুর রহমান, আঞ্জ আরা বেগম (৩০) স্বামী মাহমুদ হোসেন, সাদেকা বেগম (৪০) স্বামী মৃত নুরুল ইসলাম সহ আরো অনেকেই।
স্থানীয়রা বলেন, সবাই যখন জুমার নামাজ পড়তে ব্যাস্ত তখন ফ্যাসিবাদের দোসররা নির্লজ্জভাবে জামায়াত নেতার বাড়িতে হামলা করে।
এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন স্থানীয়রা।