[english_date] | [bangla_day]

ফিল্ড হাসপাতাল বাঁচালো অসুস্থ বিদেশি নাবিকের প্রাণ

chittagong field hospital

চিটাগাং মেইল: বন্দর জেটিতে বাঁধা জাহাজের বিদেশি নাবিক উইন এইচ টুট (৫৫) আকস্মিক অসুস্থ হয়ে পড়লে ভর্তি করেনি নগরের কোনো বেসরকারি হাসপাতাল।

১৩ ঘণ্টা ছোটাছুটির পর তার চিকিৎসা করে প্রাণ বাঁচিয়েছে চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতাল। বর্তমানে তিনি ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।

ফিল্ড হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বিদ্যুৎ বড়ুয়া বলেন, সকালে আমি হাসপাতালে নাশতা করছিলাম। এমন সময় ওই বিদেশি নাবিককে আনা হলো। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে দেখা গেলো উনার জ্বর নেই। অক্সিজেন গ্রহণের মাত্রাও স্বাভাবিক। কার্ডিয়াক অ্যাটক সন্দেহ করে দ্রুত ইসিজি করালাম। হোয়াটস অ্যাপে আমার বন্ধু চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করে চিকিৎসা শুরু করলাম।Info Chittagogng

রোগীর সহকর্মী আলী আকবরের কাছ থেকে জানলাম শনিবার (১৩ জুন) রাত ৯টার দিকে বন্দরের জেটিতে থাকা জাহাজে অসুস্থ বোধ করেন এ বিদেশি নাবিক। উন্নত চিকিৎসার জন্য বন্দরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সঙ্গে পরামর্শ করে তাকে নগরের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তির চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। সব হাসপাতাল তাদের কাছে করোনা নেগেটিভ সনদ চেয়েছে।

বর্তমানে মিয়ানমারের ওই নাবিক আশঙ্কামুক্ত হলেও ৭২ ঘণ্টা নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকবেন বলে জানিয়ে ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া বলেন, আমরা এ পর্যন্ত ১ হাজার ১০০ রোগীর চিকিৎসা করেছি ফিল্ড হাসপাতালে। এর মধ্যে একমাত্র বিদেশি নাগরিক এ নাবিক। স্বাভাবিকভাবে তাকে আমাদের সাধ্যের সবটুকুন দিয়ে সুস্থ করে তুলতে চাই।

ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া বলেন, আন্তর্জাতিক মানের চট্টগ্রাম বন্দরে বিশ্বমানের হাসপাতাল থাকতে হবে। বিদেশি নাবিকদের উন্নত চিকিৎসার জন্য এটা জরুরি। এ নাবিক করোনা রোগী না হওয়া সত্ত্বেও আমরা চিকিৎসা দিচ্ছি চট্টগ্রাম তথা দেশের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখতে।

বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর হাসপাতালে হৃদরোগের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা না থাকায় হয়তো শিপিং এজেন্ট কোনো ক্লিনিকে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী কনটেইনার শিপ ‘এমভি মায়েরস্ক বিনটুলু’র ওই নাবিক অসুস্থ হওয়ার বিষয়টি প্রথমে বন্দরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে জানানো হয়। আইসিইউ সাপোর্টের প্রয়োজন হতে পারে মনে করে শিপিং এজেন্টকে বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। জাহাজটি ১১ নম্বর জেটিতে বার্থিং নেয় ১১ জুন। এর আগে ৬ জুন বহির্নোঙরে আসে। তখনি নাবিকদের করোনা স্ক্রিনিং সম্পন্ন করে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মেডিক্যাল টিম।

সুত্র: বাংলানিউজ।

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

পাঠক প্রিয়