[english_date] | [bangla_day]

নগরীর তিন হাসপাতাল ঘুরেও চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যু

চিটাগাং মেইল:  অসুস্থ বাবাকে নিয়ে হাসপাতালে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন ছেলে অভিজিৎ। করোনা ভেবে কোন হাসপাতালেই ভর্তি করানো যায়নি। শেষ পর্যন্ত চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন তিনি।

দক্ষিণ নালাপাড়া এলাকায় সপরিবারে থাকতেন ৬২ বছর বয়সী প্রীতি বিকাশ দত্ত। বুধবার রাত সাড়ে আটটায় হঠাৎ তাঁর বুকে ব্যাথা উঠলে ছেলে অভিজিৎ দত্ত বাবাকে নিয়ে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে বের হন। বন্ধুর বাবার অসুস্থতার খবর শুনে মানবাধিকার কমিশনের ফ্রী অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের ব্যবস্থা করেন অভিজিতের বন্ধু অজয়।

চট্টগ্রামের মা-মনি হাসপাতাল, ম্যাক্স, ন্যাশনাল হাসপাতাল ঘুরেও মিলেনি চিকিৎসা। পরে বাধ্য হয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু জরুরি বিভাগে নিয়ে যেতেই মৃত্যুবরণ করেন তিনি।Info Chittagogng

অভিজিতের বন্ধু বিজয় বলেন, বন্ধুর বাবা অসুস্থ হওয়ার খবর পেয়ে আমি একটি অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা করে দিই। তারা অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে তিনটি হাসপাতালে ঘুরেছেন। কোনো হাসপাতালে তার বাবাকে ভর্তি করানো হয়নি। পরে চমেক হাসপাতালের নিয়ে যাওয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, করোনার অজুহাতে চিকিৎসা দেয়নি হাসপাতালগুলো। কিন্তু ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে করোনা পরীক্ষায় ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। হাসপাতালগুলোর এমন অপারগতা প্রশ্নবিদ্ধ করেছে চট্টগ্রামের স্বাস্থ্যসেবাকে।

এদিকে, অর্থের বিনিময়ে চিকিৎসা সেবা দিতে মরিয়া হাসপাতালগুলো মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে রোগীদের কাছ থেকে। হাতে পায়ে ধরেও মিলছে না চিকিৎসা। এমন অবস্থায় চট্টগ্রামের চিকিৎসা সেবা নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠেছে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডেপুটি গভর্নর মো. আমিনুল হক বাবু বলেন, বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সেবা না পেয়ে রোগীর মৃত্যু হচ্ছে। এ নিয়ে কর্তৃপক্ষ এখনও চুপ করে আছে। কিন্তু বিষয়গুলো নিয়ে গঠিত কমিটির দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি দেখছি না। হাসপাতাল গুলোর লাইসেন্স বাতিলের কথা বলা হলেও তার কোনো প্রতিফলন নেই। তাহলে কি শস্যের মধ্যেই ভূত লুকিয়ে আছে?

সুত্র: বাংলানিউজ।

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

পাঠক প্রিয়