চট্রগ্রামের আলোচিত এইট মার্ডার মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ইলিয়াছ গ্রেপ্তার
মোহাম্মদ হাসানঃ চট্টগ্রামের আলোচিত এইট মার্ডার মামলার আসামি হাজী ইলিয়াছকে গ্রেপ্তার করেছেন রাউজান থানা পুলিশ।
২০ বছর আগের চট্টগ্রামে আলোচিত এইট মার্ডার! বাংলাদেশের ইতিহাসে এইভাবে প্রকাশ্যে ব্রাশফায়ার করে একসাথে এতজন ছাত্রনেতা হত্যাকান্ডের ঘটনা আর নেই। ২০০০ সালের ১২ জুলাই চট্রগ্রাম নগরীর বহদ্দারহাটের কাছে দিন দুপুরে ইসলামী ছাত্র শিবিরের ক্যাডারদের ব্রাশ ফায়ারে ৮ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী নিহত হন। ঐদিন চট্টগ্রাম গর্ভমেন্ট কমার্শিয়াল ইনিস্টিটিউটের সাবেক ভিপি ও সাবেক এ.জি.এসসহ ৮ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী দলীয় কর্মসূচীতে অংশ নেয়ার জন্য যাওয়ার পথে বহদ্দারহাটের কাছে তাদের মাইক্রোবাস থামিয়ে জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে দিবালোকে ব্রাশ ফায়ার করে হত্যা করে।
১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার পূ্র্বগুজরা ইউনিয়নের মধ্যম আধার মানিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত হাজী ইলিয়াছ ওই এলাকার মৃত আমিনুর রহমানের ছেলে।
পুলিশ স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম কর্মীদের জানিয়েছেন,, ইলিয়াছের বিরুদ্ধে ডাকাতি মামলাসহ বেশকিছু মামলা রয়েছে। ২০০০ সালের ১২ জুলাই নগরীর বহদ্দারহাটের কাছে ৮ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী দলীয় কর্মসূচীতে অংশ নেয়ার জন্য যাওয়ার পথে মাইক্রোবাস থামিয়ে তাদের প্রকাশ্যে দিবালোকে ব্রাশফায়ার করে হত্যা করা হয়। ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে এ ঘটনার জন্য দায়ী করা হয় জামায়াত-শিবিরকে।
এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করে আসামি করা হয় ২২ জনকে। বিচার চলাকালে ২ জন আসামি মারা যায়। ঘটনার আট বছর পর ২০০৮ সালে ৪ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ৩ শিবির ক্যাডারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে রায় দেয় আদালত। মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে সাজ্জাদ হোসেন খান ভারতের কারাগারে, অন্য তিনজন দেশের কারাগারে বন্দি রয়েছেন। গ্রেপ্তার হওয়া হাজী ইলিয়াস এই মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশ পাওয়া আসামি।