নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, নগরী ডাম্পিং স্টেশনে স্তুপকৃত বর্জ্য শোধন করে বিদ্যুৎ সহ নিত্য ব্যবহার্য পণ্য রূপান্তর প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে চট্টগ্রাম নগরী পরিবেশ বান্ধব হবে।
তিনি আরো বলেন, চসিকের ব্যবস্থাপনায় প্রতিদিন প্রায় তিন হাজার টন বর্জ্য ৪১টি ওয়ার্ড থেকে সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট দুইটি স্থানে ডাম্পিং করা হয়। বর্জ্য ডাম্পিং এর কারণে ঐ দুইটি এলাকায় জনস্বাস্থ্য সহ পরিবেশের হুমকি হয়ে দাড়িয়েছে। এই অবস্থায় সৌদিয়া-জার্মান পাওয়ার প্লান্ট লি: তাদের নিজস্ব উদ্যোগে জায়গার ব্যবস্থা, বর্জ্য পরিবহন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কর্মরতদের অর্ধেক খরচ বহন সহ প্লান্ট স্থাপন বাস্তবায়ন প্রস্তাবকে স্বাগত জানাই।

তিনি ০৬ জুন রোববার সকালে টাইগারপাসস্থ অস্থায়ী ভবনে তাঁর কার্যালয়ে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্লান্ট স্থাপনে আগ্রহী সৌদিয়া-জার্মান পাওয়ার প্লান্ট লি: প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি দলের সাথে সাক্ষাতকালে এ কথা বলেন।
মেয়র বলেন, সাবেক মেয়র আলহাজ্ব এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরী বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ ও নিত্য ব্যবহার্য পণ্য উৎপাদনের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। সেই পথ ধরেই তাঁর অসম্পূর্ণ উদ্যোগ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চাই।
তিনি প্রতিনিধি দলের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রস্তাবিত প্রকল্পটি অনেক ব্যয়বহুল, তাছাড়া প্লান্ট স্থাপনে ৩০ থেকে ৩৫ একর জায়গা প্রয়োজন যদি হয়ে থাকে আমাদের পক্ষে এই পরিমাণ জায়গা দেয়া এবং অন্য ব্যয়ভার নেয়া সম্ভব হবে না। অন্যদিকে সরকার থেকে প্রস্তাবিত প্রকল্পের অনুমোদন পেতে যাবতীয় প্রক্রিয়া আপনাদেরকেই গ্রহণ করতে হবে। এক্ষেত্রে মেয়রের কোন সহযোগিতা প্রয়োজন হলে তিনি সে সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন।
প্রত্যুত্তরে প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে জানানো হয় এ ধরণের প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গেলে ৩০ থেকে ৩৫ একর জায়গার প্রয়োজন হয়। এই জায়গা আমরা নিজেদের খরচে ক্রয় করবো এবং যাবতীয় মেশিনারীজ ক্রয়ে জার্মানির সিমেন্স কোম্পানী সহায়তা করবে, অবকাঠামোগত খরচও আমাদের কোম্পানী ব্যয় করবে। তদুপরি বর্জ্য পরিবহনের জন্য যে সব যানবাহন প্রয়োজন হবে এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় যে সকল শ্রমিক কর্মরত থাকবে তাদের অর্ধেক খরচ আমাদের কোম্পানী ব্যয়ভার গ্রহণ করবে। আমরা শুধু চসিকের বর্জ্যগুলো কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করব। অন্যদিকে চসিকের যে দুইটি ডাম্পিং ষ্টেশন বিদ্যমান আছে তা চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার ৬ মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ জায়গা পরিস্কার করে দেওয়া হবে। যা চসিক অন্য কোন আয়বর্দ্ধক কাজে ব্যবহার করতে পারবে।

মেয়র চুক্তি হওয়ার কতদিনের মধ্যে এই প্রকল্প সম্পন্ন হবে তা জানতে চাইলে প্রতিনিধি দল জানান কোন ধরণের বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে না হলে ২৪ থেকে ২৬ মাসের মধ্যে প্রকল্প চালু করে দেয়া যাবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিক সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম, মো.আবুল সালেহ, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাদাত মো. তৈয়ব, আশিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী, সৌদিয়া-জার্মান পাওয়ার প্লান্ট লি: এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৌরভ সিদ্দিকী, পরিচালক সাখাওয়াত জাকি, আসিকুর রহমান, মাজিদ আহমেদ প্রমুখ।