[english_date] | [bangla_day]

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে ফের অনিশ্চয়তা

চিটাগাং মেইল ডেস্ক:  দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা লকডাউন ঘোষিত হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে এমনিতেই অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। এর মধ্যে সারাদেশে সরকারি বিধিনিষেধ ১৬ জুন পর্যন্ত বাড়ানোয় এ নিয়ে ফের অনিশ্চয়তা তৈরি হলো। গত ২৬ মে শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন ১৩ জুন খুলতে পারে সারাদেশের স্কুল-কলেজ।

রোববার (৬ জুন) শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টরা জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার অন্যতম শর্ত ছিল করোনা পরিস্থিতি অনুকূলে আসা। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হয়ে অবনতি হচ্ছে। এতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে ফের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। সরকারি বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে খুলবে তা এখন আর নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

YouTube player

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ১৩ জুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণায় শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন,‌ করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলেই কেবল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়া হবে। এখন সরকারি বিধিনিষেধ নতুন করে বাড়ায় বিষয়টি নতুন করে চিন্তা করতে হবে। এটা নিয়ে সরকারের অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও করোনা মোকাবিলায় সরকার গঠিত কারিগরি কমিটির সঙ্গে কথা বলে আমরা দ্রুত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবো।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ইতোমধ্যেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খোলার ইঙ্গিত দিয়েছেন। রাজধানীর দুটি আলাদা প্রোগ্রামে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে আমরা ঝুঁকি নেব না।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে। এক্ষেত্রে করোনা সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের নিচে নামা জরুরি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় আগামী ১৬ জুন পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানো হয়েছে। এই অবস্থায় সংশ্লিষ্টদের সাথে বসে পুনরায় সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে ১৩ জুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।

করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে এক বছরের বেশি সময় ধরে। এ অবস্থায় আগামী ১৩ জুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। তবে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে কোনো ঝুঁকি নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে কি না বা খোলা কতটা যৌক্তিক হবে, সে বিষয়ে ইতোমধ্যে নানা বক্তব্য আসছে। এর আগে গত সপ্তাহে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে না।

জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেছেন, সরকারের ঘোষিত তারিখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে সব ধরনের প্রস্তুতি আছে। শেষ প্রস্তুতি হিসেবে স্কুল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে। সরকারের নির্দেশনা পেলেই প্রতিষ্ঠান খোলা যাবে। তবে সবকিছু নির্ভর করছে পরিস্থিতির ওপর।

YouTube player

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক বেলাল হোসাইন বলেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া সরকারের নীতি নির্ধারকদের ব্যাপার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সব ধরনের প্রস্তুতিই আমাদের আছে।

২৬ মে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর চলমান ছুটি ও শিক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী জানান, আগামী ১৩ জুন থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার বিষয়টি নির্ভর করছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাইকে করোনার টিকার আওতায় আনার ওপর।

সেসময় মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বন্ধ রাখা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আমরা দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দিতে চাই। মাঝে করোনার পরিস্থিতি ভালো হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়। ঈদে বাড়ি যাওয়ায় বিভিন্ন জেলায় সংক্রমণের হার বেড়েছে। এসব বিষয়ও আমাদের মাথায় রাখতে হচ্ছে।’

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

পাঠক প্রিয়