নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, চট্টগ্রাম নগরীর বিপ্লব উদ্যানের সৌন্দর্যবর্ধন কার্যক্রমে নির্মিত দোকানের বর্ধিত অংশ ভেঙ্গে ফেলা হবে। একইসাথে চুক্তি লঙ্ঘিত হওয়ায় এর সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত দোকান বন্ধ থাকবে।
মঙ্গলবার ২৫ আগস্ট বিকালে নগরীর ২ নম্বর গেটস্থ বিপ্লব উদ্যানের সৌন্দর্যবর্ধন কার্যক্রম পরিদর্শন ও গণশুনানীকালে এই নির্দেশনা দেন।
পরিদর্শনকালে প্রশাসক প্রত্যক্ষ করেন যে, চুক্তিতে ১৫০বর্গফুটের দোকান করার কথা থাকলেও প্রতিটি দোকান ২শ বর্গফুটে বর্ধিত করা হয়েছে। জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা সংকুচিত করে দোকানের সিট বসানো হয়েছে। এছাড়াও চুক্তির শর্ত লংঘন করে দ্বিতল ভবন নির্মাণ করে দোকান বসানো হয়েছে। এসব অনিয়ম ও অসঙ্গতি দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রশাসক বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের চুক্তির বাইরে গিয়ে কিংবা ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করে শুধু বাণিজ্যিক চিন্তা ভাবনায় এই কাজ করতে দেয়া যায় না।
প্রশাসক জানান, চসিকের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীগণ চুক্তি অনুযায়ী কাজ সম্পাদনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। উভয় পক্ষ যতক্ষণ সিদ্ধান্তে উপণীত হতে না পারবেন ততদিন এই অবৈধ দোকান বন্ধ থাকবে। অন্যথায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে আইগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, চসিকের সকল পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন হবে নগরবাসীর স্বার্থে। পরিদর্শনকালে আরো জানানো হয়, চসিকের সৌন্দর্যবর্ধন ও নগরায়নে জনগণের স্বার্থরক্ষাকে প্রাধান্য দিতে হবে। ব্যক্তি স্বার্থে কোন কিছু করার সুযোগ নেই। নগরবাসীর স্বার্থের বিপরীত কর্ম সম্পাদনে লিপ্ত হয় তাদের আজকের এই কর্মসূচী থেকে সাবধান হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন প্রশাসক।
এসময় চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দোহা, সচিব আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুফিদুল আলম, প্রকৌশলী আলী আশরাফ, প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি এ কে এম রেজাউল করিম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী, উপপ্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদ আলম চৌধুরী, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সিদ্দিক উপস্থিত ছিলেন।