[english_date] | [bangla_day]

কুতুবদিয়ায় অমাবস্যার জোয়ারের পানিতে প্লাবিত এলাকার ৬৫০ পরিবারকে ত্রাণ বিতরণ

কুতুবদিয়া প্রতিনিধি: অমাবস্যা ও পূর্ণিমায় সৃষ্ট জোয়ারের প্রভাবে কুতুবদিয়ার উপজেলা ৬ টি ইউনিয়নই প্লাবিত হয়েছে। তম্মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্লাবিত হয়েছে উত্তর ধূরুং ইউনিয়ন। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজারো মানুষ।

তাছাড়া, উত্তর ধূরুং ও লেমশীখালী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ফসলের খেত ও রাস্তাঘাটসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা তলিয়ে যাওয়ায় ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, টেকসই বেড়িবাঁধ না থাকায় অমবস্যা ও পূর্ণিমায় তাদের পানির মধ্যে ভাসতে হচ্ছে। দিনে দুইবার পানি ওঠায় জোয়ার-ভাটার উপর নির্ভর করেই দিন কাটাতে হচ্ছে পানিবন্দি এলাকার বাসিন্দাদের। এতে নারী ও শিশুরা বেশি দুর্ভোগে পড়েছে।পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপর ভরসা হারিয়ে এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে বেড়ীবাঁধ নির্মাণ কাজ করেছে। এরপরও পানি ঠেকানোর চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছেন এলাকাবাসী।

ভুক্তভোগীরা জানান, উত্তর ধূরুং বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ায় গত কয়েক বছর ধরে চর ধূরুং, পূর্ব চর ধূরুং, পশ্চিম চর ধূরুং,ফয়জানি পাড়া, আকবর বলী পাড়া, চুল্লার পাড়া, মসজিদ পাড়ার কয়েক হাজার মানুষ জোয়ার হলেই পানিবন্দি হয়ে পড়েন। এক কথায়, এখন স্বপ্ন নিয়ে বাঁচার অনুকূলে নেই বলে জোয়ারে পুরো এলাকা পানিতে ডুবে গেছে। ঘরে রান্না-বান্না বন্ধ রয়েছে। আমরা খুব দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছি।

এ ব্যাপারে উত্তর ধূরুং ইউপি চেয়ারম্যান আ স ম শাহরিয়া চৌধুরী বলেন, কুতুবদিয়া দ্বীপের উত্তর ধূরুং ইউনিয়নের বেড়িবাধেঁর মধ্যে প্রায় ৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ বিলীন রয়েছে। এ ভাঙ্গন বেড়িবাঁধ এলাকা দিয়ে চলতি পূর্ণিমার জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে গ্রাম। এতে পানি বন্দি হয়ে পড়েছে কয়েকশত পরিবার। জোয়ারের পানিতে হাজার হাজার একর ফসলি জমি ও শত একর বীজতলা তলিয়ে গেছে।

এদিকে, শনিবার ও রবিবার জোয়ারে প্লাবিত ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসন ৬৫০ পরিবারে ১০ কেজি চাল, ১ কেজি আলু ও ১ কেজি করে ডাল বিতরণ করেন।

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

পাঠক প্রিয়