[english_date] | [bangla_day]

লামায় বন্যহাতির তাণ্ডবে ২০ একর জুমচাষ ও ৪ টি বসতবাড়ি ধ্বংস

লামা প্রতিনিধিঃ লামা উপজেলায় গজালিয়া ইউনিয়নের ৭,৮,৯ ওয়ার্ডে বন্যহাতির তাণ্ডবে, উঠতি আমন ও আউস ধানের ক্ষেত, কলা বাগান, পাহাড়ের ২০ থেকে ২৫ একর জুমচাষ সহ ৪ টি বসতবাড়ি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

২৩ আগস্ট রবিবার বিকেলের খবর পেয়ে সরেজমিনে ছুটে যান গজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও লামা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাথোয়াইচিং মার্মার সহধর্মিনী ক্রাচিং প্রু মার্মা। তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ইউনিয়ন পরিষদের থেকে সাহায্য সহযোগিতা ছাড়া ও নিজের ব্যক্তিগতভাবে সাহায্য করবেন বলে আশ্বস্ত করেন।

বন্যহাতি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত ৭ নং ওয়ার্ডের জাফর আলমের ৩ কানি ধানের ক্ষেত ২০ টি কলা গাছ, এবং ৮ নং ওয়ার্ডের হ্লাশৈসিং মার্মার ১ কানি জুমের ধান ক্ষেত , মংশৈসিং ১.৫ কানি জুমের ধান ক্ষেত, মংমেচিং মার্মা ১ কানি ধানে ক্ষেত, অংথৈচিং মার্মা ২ কানি জুমের ধানের ক্ষেত, উক্যচিং মার্মা ১ কানি জুমের ধান ক্ষেত ,মাপ্রু মার্মা ১ কানি জুমের ধান ক্ষেত , থুইসাচিং মার্মা জুমের ধান ক্ষেত , দেলোয়ার হোসেন ২ কানি জুমের ধান ক্ষেত ও ৯ নং ওয়ার্ডের আব্দুল রাজ্জাক ১.৫কানি সহ ওই এলাকার আরো বেশ কয়েকজনের ধান ক্ষেত নষ্ট করেছে বন্যহাতির পালটি।

হাতির পালটি ওই এলাকার আশেপাশে অবস্থান করছে বলে জানা যায়।

এই সময় ক্ষতিগ্রস্তরা কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আর কিছু দিন পরেই জুমের ধান কাটার কথা রয়েছে। এই সময় হঠাৎ করে বন্যহাতির পাল এসে আমাদের বসতবাড়ি পাহাড়ের জুমের ক্ষেত নষ্ট করে ফেলেছে একমাত্র আয় এর উৎস নষ্ট হয়ে গেছে, সারা বছর কিভাবে চলব? ছেলে-মেয়ের পড়াশোনার খরচ কিভাবে দিব। আমাদের পাশে কে দাড়াঁবে?

লামা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এসএম কায়ছার বলেন, বন্যহাতির দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হলে বন বিভাগ কর্তৃক ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনুযায়ী সহায়তা করা হবে বলে জানান তিনি।

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

পাঠক প্রিয়