নিজস্ব প্রতিবেদক: সন্তানের স্বীকৃতি পেতে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘূরছেন প্রতারণার স্বীকার হওয়া এক মা আয়েশা (ছদ্মনাম)। প্রতারণার স্বীকার আয়েশার (ছদ্মনাম) দাবী “কোর্টম্যারেজের পর গরম বিবির মাজারে বিয়ে হয় তাদের”। অভিযুক্ত তথাকথিত পুলিশসোর্স আরিফুর রহমান রানা (৩০) আয়েশাকে (ছদ্মনাম) ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে হলফনামামূলে বিয়ে করলেও প্রতারণার উদ্দেশ্যে নিকাহনামা সম্পাদন করেনি ।
আয়েশা (ছদ্মনাম) আর রানা দীর্ঘ ৫ মাস কর্ণফুলী থানার মইজ্জারট্যাক এলাকায় ভাড়া বাসায় স্বামী স্ত্রী পরিচয়ে থাকার পর আয়েশা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে রানা আয়েশাকে (ছদ্মনাম) গর্ভপাতে রাজি করাতে ব্যর্থ হয়ে কৌশলে মইজ্জারট্যাকস্থ ভাড়াবাসা ছেড়ে কোতোয়ালী থানাস্থ ফিরিঙ্গীবাজারস্থ সাপ্লাই কলোনিতে চলে আসে। এসময় আয়েশাকে (ছদ্মনাম) জিম্মি করে গর্ভপাতের জন্য শারীরিক নির্যাতন শুরু করে রানা।
আয়েশার (ছদ্মনাম) পিতা মাতার বর্ণনামতে, আয়েশাকে (ছদ্মনাম) উদ্ধারের পর স্থানীয় থানায় গেলেও বিষয়টি স্বাভাবিক পারিবারিক ঘটনা বিবেচনায় মামলা না করে মিমাংসা করে দেয় কোতোয়ালী থানার পুলিশ। এর মধ্যে আয়েশা (ছদ্মনাম) একটি সন্তানের জন্ম দেয়।
সন্তানের ১৩ দিন বয়সে সন্তান বিক্রয়ের চেষ্টা করে রানা। আয়েশার (ছদ্মনাম) পরিবারের দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় আয়েশাকে (ছদ্মনাম) ঘর থেকে বের করে দিয়ে স্ত্রী হিসেবে অস্বীকার করে রানা।এখানেই শেষ নয়, থানায় অভিযোগ করতে যাওয়ায় আয়েশা (ছদ্মনাম) ও তার পরিবারের উপর গত ৪ এপ্রিল ২০২০ সদলবলে হামলা করে প্রতারক রানা। আয়েশা (ছদ্মনাম) পুনরায় কোতোয়ালী থানায় অভিযোগ করতে গেলে লকডাউনের কারণে থানা মামলা নেয়নি বলে জানাই সে।
আয়েশা (ছদ্মনাম) বলেন, এ অবস্থায় কার কাছে গেলে এই প্রতারণার বিচার পাবো, পাবো স্বামীর অধিকার ও সন্তানের পিতৃপরিচয় স্বীকৃতি?
আয়েশা (ছদ্মনাম) আরো দাবী করেন, অভিযুক্ত রানা বহুদিন যাবৎ এলাকায় মাদক ব্যাবসা, চাঁদাবাজি সহ নানাবিধ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। আরিফুর রহমান রানা কোতোয়ালী থানার ফিরিঙ্গীবাজারস্থ সাপ্লাইকলোনী নিবাসী ভান্ডারী ও আমেনা বেগমের ছেলে।