[english_date] | [bangla_day]

কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার প্রতিবাদে থানায় আগুন – বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র।

মেইল ডেক্সঃ শেতাঙ্গ পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্য। ইতিমধ্যে বিক্ষোভের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে বিক্ষোভকারীরা মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের বৃহত্তম শহর মিনিয়াপলিসের একটি থানায় আগুন দেয়। দাউ দাউ আগুনের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়ে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী গণমাধ্যম সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, মিনিয়াপলিসের বিক্ষোভে অংশ নেয় কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী। তাদের অনেককে সংলগ্ন ভবনের ছাদে অবস্থান নিতে দেখা যায়। তারা সেখানে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকে। স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১০টা নাগাদও বিক্ষোভ শান্ত হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যায় নি।
সিএনএন-এর সাংবাদিক সারা সিডনার জানান, একদিকে থানার ভেতরে ফায়ার অ্যালার্ম বেজে চলছে। অন্যদিকে বিক্ষোভকারীরা উল্লাস করছে। পুলিশের বেষ্টনি ঘিরে লোকজন আতশবাজি করছে। তবে কোনো সাইরেনের শব্দ পাওয়া যায়নি। তাৎক্ষণিকভাবে অগ্নিনির্বাপনকর্মীদের কোনো তৎপরতাও দেখা যায়নি।
ঘটনাস্থল থেকে সিএনএন-এর প্রতিবেদক জোশ ক্যাম্পবেল বলেন, এটি একটি বিপজ্জনক পরিস্থিতি। আমার মনে হয় পুলিশও সেটা অনুধাবন করছে। পুলিশ জানে বিক্ষোভকারীদের উপস্থিতি উত্তেজনার পারদ আরও বাড়িয়ে তুলবে। এতে করে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়বে।
২৫ মে শেতাঙ্গ পুলিশের হাতে জর্জ ফ্লয়েড নামে এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এরপর থেকে এ আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। ওই হত্যাকাণ্ডের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্র হয়ে উঠে।
একজন প্রত্যক্ষদর্শীর ধারণ করা ১০ মিনিটের ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, হাঁটু দিয়ে এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির গলা চেপে ধরে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ সদস্য। নিহত ব্যক্তি নিরস্ত্র ছিলেন। ভিডিওতে নিঃশ্বাস নিতে না পেরে তাকে কাতরাতে দেখা যায়। তিনি বারবার শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসারকে বলছিলেন, ‘আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না।’
ক্রমবর্ধমান সহিংসতা ঠেকাতে মিনেসোটার গভর্নর টিম ওয়ালজ শহরটিতে ন্যাশনাল গার্ড বাহিনী মোতায়েন করলেও বৃহস্পতিবার প্রতিবাদকারীদের ক্ষোভের আগুন দমাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে খুব বেশি তৎপর দেখা যায়নি।
বিক্ষোভকারীরা এদিন একটি গাড়ি এবং অন্তত তিনটি ভবনে অগ্নিসংযোগ করেছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে; টানা দ্বিতীয় রাতের মতো দোকানে লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে।
বুধবার রাতে দাঙ্গা পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ ও অন্তত ১৬টি ভবনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছিল।

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

পাঠক প্রিয়