[english_date] | [bangla_day]

লকডাউনের কারণে কুতুবদিয়া ঘাট ইজারাদার এর দিনে ক্ষতি ৮০ হাজার টাকা

কুতুবদিয়া প্রতিনিধি। লকডাউনের কারণে কুতুবদিয়া চ্যানেল পারাপার ইজারাদারকে দৈনিক ক্ষতি গুনতে হচ্ছে ৮০ হাজার টাকা। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য সরকার সারাদেশে লকডাউন ঘোষনা করে।

গত ২৫ মার্চ থেকে এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের ফলে স্থানীয় সরকার ও পুলিশ জন নিরাপত্তার জন্য ঘাট পারাপার বন্ধ করে দিয়েছে। তখন থেকেই পারাপার ঘাট ইজারাদার দৈনিক ৮০ হাজার টাকা নগদে ক্ষতির হিসাব গুনছে। কেবল রোগী,সরকারি ত্রাণ কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি পারাপার হচ্ছে।

কুতুবদিয়া চ্যানেলের বড়ঘোপ- মগনামা ফেরিঘাট পারাপার ইজারাদার আবুল কালাম আজাদ বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে কুতুবদিয়া চ্যানেলে বড়ঘোপ হতে মগনামা ফেরিঘাট গত ২৫ মার্চ হতে এ পর্যন্ত সাধারণ যাত্রী পারাপার বন্ধ রয়েছে।

গত ১৪২৬ বাংলা ঘাট পারাপার ডাককারী হিসেবে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয় হতে মূলডাক ও আয়কর ভ্যাটসহ এক কোটি ৭১ লাখ টাকা দিয়ে ইজারা নেন। তখনই জেলা প্রশাসক যাত্রী ভাড়া নির্ধারণ করে পারাপার ঘাট বুঝিয়ে দেন সর্বোচ্চ ডাককারীকে। চলতি লকডাউনের কারণে গত ২৫ মার্চ হতে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় ২০ দিন। সে সময়ে ডেনিস বোট ভাড়া,স্প্রীড বোট ভাড়া, দৈনিক শ্রমিক, ডিজেল খরচসহ দৈনিক ৬৫ হাজার টাকা করে ক্ষতির হিসাব টানতে হয়েছে। এ ক্ষতির বিবরণ দিয়ে ঘাট ইজারাদার আবুল কালাম আজাদ গত ১৩ এপ্রিল কক্সবাজার জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

তিনি অভিযোগে আরো জানান, চলতি ১৪২৭ বাংলার জন্য সরকারি বিধি মোতাবেক বড়ঘোপ হতে মগনামা ফেরিঘাট পারাপার ইজারার দরপত্র আহবান করলে গত ৮ মার্চ টেন্ডারের মাধ্যমে বর্তমান ডাককারী সর্বোচ্চ ডাকদাতা হিসেবে মূলডাক,আয়কর ভ্যাটসহ মোট দুই কোটি চার লাখ টাকায় ডাক নেন। ঐ ডাককারী আবুল কালাম আজাদ গত ২২মার্চ জেলা প্রশাসক কক্সবাজার বরাবরে সম্পূর্ণ টাকা জমা করেন। টাকা জমা দেয়ার তিন দিন পরই সারা দেশে লকডাউন শুরু হয়।

ইজারাদার আবুল কালাম আজাদ বলেন, গত ১৪২৬ বাংলার ১১চৈত্র অর্থাৎ ২৫মার্চ হতে ৩০চৈত্র অর্থাৎ ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ২০ দিন। আবার ১৪২৭ বাংলার ০১ বৈশাখ ১৪ এপ্রিল হতে ১৬ জৈষ্ঠ্য ৩০ মে পর্যন্ত মোট ৪৭ দিন। ডেনিস ভাড়া, স্প্রীড বোট ভাড়া, দৈনিক শ্রমিক, ডিজেলসহ দৈনিক ৮০ হাজার টাকা ক্ষতি গুনতে হচ্ছে। তবে লকডাউনের কারণে ১৪২৭ বাংলার কুতুবদিয়া চ্যানেলের বড়ঘোপ হতে মগনামা পারাপার ফেরিঘাট ইজারার সম্পূর্ণ টাকা জমা করলেও চুক্তি সম্পাদন হয়নি কলে জানান।

এ ব্যাপারে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্য়ালয়ের স্থানীয় সরকার শাখায় যোগাযোগ করলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক এক কর্মকর্তা জানান, ক্ষতির বিষয় উল্লেখ করে ঘাট ইজারাদার আবুল কালাম আজাদের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানান। তবে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে। লকডাউনের কারণে সারা দেশের হাটবাজার,ফেরিঘাট পারাপার কার্য়ক্রম বন্ধ রয়েছে। সরকার এ ব্যাপারে একটা সিদ্ধান্ত নেবেন।

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

পাঠক প্রিয়