ডেস্ক রিপোর্ট: ইতোমধ্যে দেশের ৬৪ জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মারা গেছে ৩২৮ জন। এছাড়া দেশে মোট করোনাক্রান্তের সংখ্যা ২২ হাজার ২২৮ জন।। এদিকে দেশের এমন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন জেলায় ঈদের কেনাকাটায় ভিড় বাড়ছেই। স্বাস্থ্যবিধি না মানায় বাধ্য হয়ে স্থানীয় প্রশাসন অনেক জায়গায় মার্কেট বন্ধের নির্দেশনা দিলেও সেটিও মানছেন না অনেকে। সাতক্ষীরায় ঈদের কেনাকাটা করতে মার্কেটে গেলেন ২৪ জন করোনা রোগী।
১ লা মে নারায়ণগঞ্জ থেকে একটি ট্রাকে সাতক্ষীরার দেবহাটায় ফেরেন ২৪ জন ইটভাটা শ্রমিক। তাদের দেবহাটা খানবাহাদুর আহসানউল্লাহ কলেজের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। সেখানে ৫ মে এক যুবকের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। এরপর বাকিদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। বাকি ২৩ শ্রমিকের উপসর্গ না থাকায় ১৪ মে কোয়ারেন্টাইন থেকে ছেড়ে দেয়া হয়। কিন্তু দুইদিন পর ২৩ শ্রমিকের সবার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে।
জানা গেছে, আক্রান্ত ২৩ শ্রমিকের মধ্যে এক পরিবারের দুই শিশু ও তার মা-বাবার করোনা পজিটিভ এসেছে। তারা দেবহাটার খান বাহাদুর আহসান উল্লাহ কলেজে কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। তাদের বাড়ি সাতক্ষীরা সদরের ধূলিহর এলাকায়। কোয়ারেন্টাইনমুক্ত হয়ে তারা দেবহাটা থকে সাতক্ষীরার বাড়িতে ফেরেন। আক্রান্তদের মধ্যে দেবহাটা সদর ইউনিয়নের একজন গ্রাম পুলিশও রয়েছেন।
বাকি আক্রান্তদের বাড়ি দেবহাটা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে। দেবহাটা উপজেলার বাসিন্দা মাহমুদুল হাসান শাওন বলেন, কোয়ারেন্টাইন থেকে ১৪ মে মুক্তির পর এসব শ্রমিক পরিবারের জন্য ঈদের কেনাকাটা করাসহ বাজারে ঘুরেছেন। কেউ ভ্যান চালিয়েছেন। আক্রান্তরা এলাকায় চষে বেড়িয়েছেন। মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে দেবহাটা উপজেলা। হঠাৎ এ খবর পাওয়ার পর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র।
এদিকে, রোববার বিকেল পর্যন্ত সাতক্ষীরায় করোনা শনাক্ত ছিল তিনজন। যশোরের শনাক্ত হওয়া এক স্বাস্থ্যকর্মী ছিলেন সাতক্ষীরায়। এছাড়া ঢাকা থেকে পালিয়ে এসেছেন একজন আক্রান্ত নারী। সব মিলিয়ে এখন সাতক্ষীরায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৯ জন। সুস্থ হওয়া ব্যক্তি যশোরের ওই স্বাস্থ্যকর্মী।