চিটাগাং মেইল ডেক্স :
ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর বিরুদ্ধে ৩ জানুয়ারী ঢাকার শ্রম আদালতের রায়কে বিচার বিভাগীয় হয়রানি বলে মতো মন্তব্য করেছেন – জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন। অন্যদিকে এই ধরনের মন্তব্যকে দু:খ জনক এবং রাস্ট্রের বিচার প্রক্রিয়ায় অনভিপ্রেত হস্থক্ষেপ বলে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন- জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান।
গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যানের পদে থেকে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগের একটি মামলায় গত সোমবার তাঁকে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ঢাকার একটি শ্রম আদালত। গ্রামীণ টেলিকমের তিন কর্মকর্তাকেও একই সাজা দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার পর ড. ইউনূস বলেছিলেন, তিনি যে দোষ করেননি, সেই দোষে তাঁকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
পরবর্তীতে গত ৩জানুয়ারি ২০২৪ইং ঢাকার ইউনুস সেন্টারে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের নাগরিকদের প্রতি অন্যায়ের বিরুদ্ধে এবং গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। ইউনূস সেন্টারের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ওই বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে।
‘শ্রম আদালতের রায় নিয়ে প্রফেসর ইউনূসের বক্তব্য’ শিরোনামে গত সোমবার বিবৃতিটি প্রকাশ করা হয়। এতে তাঁর বিরুদ্ধে শ্রম আদালতের রায়কে ‘সব আইনি নজির ও যুক্তির পরিপন্থী’ বলেছেন তিনি।
বিবৃতিতে মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘আমার আইনজীবীরা আদালতে দৃঢ়ভাবে যুক্তি দেখিয়েছেন, আমার বিরুদ্ধে এই রায় সব আইনি নজির ও যুক্তির পরিপন্থী।’
৮৩ বছর বয়সী মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা। এই ব্যাংকের মাধ্যমে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন। দারিদ্র্য বিমোচনে ভূমিকা রাখার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে তিনি প্রশংসিত হলেও আমাদের দেশে তার বিষয়ে যথেষ্ট ভিন্নমত রয়েছে । আদালতের রায় বিষয়ে বিভিন্ন মহলের ভিন্ন ভিন্ন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়-
ড. ইউনূসের মামলা বিচারিক শুদ্ধাচার ও স্বাধীনতার অগ্নিপরীক্ষা: টিআইবি
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার রায় গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র: পররাষ্ট্র দপ্তর
মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় সম্পদ, তবে তিনি ক্রিমিনাল কাজ করেছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
শ্রমিক-কর্মচারীদের মামলায় ড. ইউনূসের শাস্তি হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
ড. ইউনূস কি আইনের ঊর্ধ্বে, শাস্তি কি সরকার দিয়েছে: প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের
ড. ইউনূসকে দোষী সাব্যস্ত করা বাংলাদেশের মানবাধিকারের অবরুদ্ধ দশার প্রতীক: অ্যামনেস্টি
বিবৃতিতে দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাওয়ার প্রত্যয় জানিয়েছেন মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, ‘আমি আমার সাধ্যমতো বাংলাদেশের জনগণের সেবা করে যাব ও সামাজিক ব্যবসার আন্দোলনে কাজ করে যাব।’ দেশের মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে ড. ইউনূস বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিককে অন্যায়ের বিরুদ্ধে এবং গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে এক কণ্ঠে কথা বলার আহ্বান জানাই।’