ডেস্ক রিপোর্ট: বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চডুবির ঘটনায় আরও একজনের লাশ উদ্ধার করেছে উদ্ধারকর্মীরা। মঙ্গলবার (৩০ জুন) নিখোঁজদের সন্ধানে অভিযান চলাকালে ভেসে থাকা লাশটি উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। এ নিয়ে লঞ্চডুবির ওই ঘটনায় মোট ৩৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো। এখনো কেউ নিখোঁজ আছেন কি-না তার সন্ধান পেতে এখনো তল্লাশি চলছে।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসাইন।
তিনি জানান, সকাল ১০টার দিকে লঞ্চডুবির ঘটনায় নিখোঁজদের সন্ধানে ফের উদ্ধার কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবরি দল। অভিযানের একপর্যায়ে দুপুর পৌনে একটার দিকে একজনের মরদেহ এবং সর্বশেষ বিকেল সাড়ে ৫টায় আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করে। এ নিয়ে মোট ৩৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো।
গতকাল সোমবার সকালে রাজধানীর শ্যামবাজার এলাকার বুড়িগঙ্গা নদীতে ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় ডুবে যায় ছোট আকারের লঞ্চ মর্নিং বার্ড। মুন্সীগঞ্জের কাঠপট্টি থেকে সদরঘাটে এসে নোঙর করতে যাচ্ছিল মর্নিং বার্ড। ময়ূর-২ লঞ্চটিও চাঁদপুর থেকে সদরঘাটে এসে যাত্রী নামিয়ে ভিন্ন স্থানে নোঙর করতে যাচ্ছিল।
ডুবে যাওয়া লঞ্চটি থেকে গতকাল ৩২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া লঞ্চডুবির প্রায় ১৩ ঘণ্টা পর রাত ১০টার দিকে এক ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। নদীতে ভেসে ওঠার পর কোস্ট গার্ডের কর্মীরা তাকে তুলে নেন। উদ্ধার করার পর তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নেওয়া হলে তার জ্ঞান ফিরে আসে। তাকে রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
দুর্ঘটনার পর দায়ী ব্যক্তি বা সংস্থাকে শনাক্তকরণ এবং দুর্ঘটনা প্রতিরোধে করণীয় উল্লেখ করে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ প্রদানের লক্ষ্যে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। কমিটি আগামী সাত দিনের মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দাখিল করবে।
এছাড়া নৌকাডুবির ওই ঘটনায় ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক, মাস্টার, সুকানিসহ সাতজনের বিরুদ্ধে গতকাল রাতে নৌপুলিশ সদরঘাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ শামসুল বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। এতে আসামি হিসেবে ময়ূর-২ এর মালিক মোসাদ্দেক হানিফ সোয়াত ও মাস্টার আবুল বাশারসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।