রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধিঃ বিরক্ত হয়ে খুন করেছি রনিকে। রনি সহ আরো বেশ কয়েকজন প্রায় সময় আমার বাড়িতে আসত আর এখানেই আমরা বিভিন্ন মাদকদ্রব্য সেবন করতাম। রনি আমার ভাগ্নে হলেও আমরা একসাথে নেশা করতাম। কিন্তু এক মাস যাবত আমি এসব ছেড়ে দিই এবং ভালো হতে চেস্টা করি। সে সহ বাকিদের বাড়িতে আসতে মানা করি।
কিন্তু রনি শুনতো না, প্রায়ই বাড়িতে এসে আমার সাথে নানা বিষয়ে তর্কে জড়াতো। টাকা পয়সা সহ নানা কিছু চাইতো, না দিলে রাগারাগি করতো। তার পরিবার এবং স্থানীয় প্রতিনিধিদের এ ব্যাপারে বেশ কয়েকবার বিচারও দিয়েছিলাম কিন্তু তারা দুই একটা তাপ্পর দিয়ে শেষ করে দিত। তাকে কয়েকদিন আগে শেষ বারের মতো বলেছিলাম আর যদি এখানে আসে তাহলে সে শেষ। কিন্তু এরপরেও বেশ কয়েকবার আসে, বিরক্ত করে।
সোমবার বিকালেও সিরাজ মাস্টারের কলোনীতে আমার ভাড়া বাসায় আসে রনি। এসেই বাড়িতে ঢুকার জন্য আমার সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়ে। এসবের একপর্যায়ে তাকে বুকে দা দিয়ে কুপিয়ে চলে আসি। বিজ্ঞ আদালতে এমনটাই জবানবন্দি দিয়েছে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় রনি(২২) হত্যার আসামী মো. ইউনুস(২৫)।
মঙ্গলবার (৩০ জুন) তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে রাত তিনটার দিকে উপজেলার রাণিরহাট এলাকা হতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দা’টি ঠান্ডাছড়ি এলাকার ওমর আলীর দোকানের পিছনের পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়।
রাঙ্গুনিয়া থানার এসআই মো. জয়নাল বলেন, তাকে গ্রেপ্তারের অভিয়ান চালানো অবস্থায় রাত ৩টার দিকে উপজেলার রাণীরহাট হতে এক কিলোমিটার দূরে চট্টগ্রাম শহরের দিকে হেঁটে যাচ্ছিলো সে। কাপড়ও ভেজা ছিল। পাগল মনে করে কোথায় যাচ্ছে জিজ্ঞেস করলে সে বলে আমি ইউনুস আমি খুন করেছি, তাই থানায় যাচ্ছি। এরপর গ্রেপ্তার করে তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়। এবং একই দিনে ১৬৪ধারায় জবানবন্দি নিয়ে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য গতকাল বিকাল ৪টার দিকে উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড ঠান্ডাছড়ি এলাকায় এই হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটেছিল। নিহত রনির আপন মামার শ্যালক হলেন ঘাতক ইউনুস।নিহত মো. রনি ওই এলাকার রফিক চেয়ারম্যান কলোনীর মো. মাহবুব এর ছেলে। ঘাতক মো. ইউনুস উপজেলার চন্দ্রঘোনা-কদমতলী ইউনিয়নের মো.৷ আলীর ছেলে। সে ইটভাটার শ্রমিক হিসেবে কাজের সুবাদে রাজানগর ইউনিয়নের ঠান্ডাছড়ি গ্রামের সিরাজ মাস্টার কলোনীতে ভাড়া বাসায় থাকতেন বলে জানা যায়।