নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি: বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির দোছড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ তিনজনকে আটক করেছে ডিবি। গত দুইদিনের বিশেষ অভিযানে একটি মোটরসাইকেলসহ ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়াবাসহ তাদের আটক করা হয়।
আটকৃতদের মধ্যে নাইক্ষ্যংছড়ি, আলীকদমের দুই বাসিন্দা ও এক রোহিঙ্গা নাগরিক রয়েছে।
তারা হলো- নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি ইউনিয়নের জারুলিয়াছড়ি গ্রামের বাসিন্দা মো: ইসলামের স্ত্রী মাহমুদা বেগম (৪১), আলীকদম উপজেলার আমতলী পাড়ার আবদুল মোতালেবের ছেলে আবদুর রশিদ (২৬) ও উখিয়া কুতুপালং লম্বাশিয়া শরণার্থী শিবিরের ১৫ নাম্বার এফ ব্লকের মকতুল হোসেনের ছেলে রোহিঙ্গা এনামুল হাসান (২২)। এই ঘটনায় পলাতক রয়েছে আরো ৫জন।
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া কক্সবাজার জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার (ডিবি) পরিদর্শক মানস বড়ুয়া জানান, গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা ২৫ মিনিটের সময় গোয়েন্দা পুলিশ জানতে পারে, মোটরসাইকেলে দুইজন যুবক ইয়াবা নিয়ে রামু উপজেলার গর্জনিয়া বাজার থেকে রামু বাইপাসের দিকে আসছে।
ওই খবরের ভিত্তিতে তার নেতৃত্বে একদল গোয়েন্দা পুলিশ কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের পূর্ব কাউয়ারখোপ এলাকার আল্লাহর দান স্টোরের সামনে মোটরসাইকেল আরোহী দুই যুবককে থামার সিগনাল দেন। কিন্তু তারা না থেমে পালানো চেষ্টা করে। ওই গোয়েন্দা সদস্যরা তাদের ধরতে সক্ষম হন।
তিনি দাবি করেন, ওই দুই যুবককে তল্লাশি করে দুইটি প্লাস্টিকের প্যাকেটে আলাদা ভাবে ৪০ হাজার করে ৮০ হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়।
ধৃত দুই যুবক আবদুর রশিদ ও এনামুল হাসানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি ইউনিয়নের জারুলিয়াছড়ি গ্রামের বাসিন্দা মৃত মোহাম্মদ ইসলামের ছেলে আনোয়ার সাদেকের (২৪) কাছের আরও ইয়াবা সংরক্ষিত আছে।
শুক্রবার (১৯ জুন) মধ্যরাত সাড়ে ১২টায় আনোয়ার সাদেকের বাড়িতে দ্বিতীয় অভিযান চালায় ডিবি। ওই সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সটকে পড়ে আনোয়ার সাদেক।
পরে তার মা মাহমুদা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এক পর্যায়ে তিনি স্বীকার করেন, তার ছেলে আনোয়ার সাদেক কিছু ইয়াবা বাড়িতে রেখে গেছে। পরে বসতঘরের বিপরীতের ঝোপের ভেতর থেকে ১০ বান্ডিল (কাট) ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। যাতে এক লাখ পিস ইয়াবা রয়েছে।
এই ঘটনায় ধৃত দুইজনসহ ৫ জনকে পলাতক আসামি দেখিয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
মামলার অপর আসামীরা হলেন আলীকদম উপজেলার উত্তর পূর্ব পাল পাড়ার হাজী কবির আহমদের ছেলে মোঃ নবী (৩৬), নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি ইউনিয়নের মৃত মো. ইসলামের ছেলে আনোয়ার সাদেক (২৪), রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ভাঙ্গা ডেপার কালা মিয়ার ছেলে মো. শাহজাহান (৩৯), হাজী পাড়ার মালেকুজ্জামানের ছেলে নুর আলম (৪১) ও বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ির কম্বনিয়া এলাকার কামাল (২৬)।
