ডেস্ক রিপোর্ট: করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন আব্দুল মান্নান। শনিবার (২০ জুন) সকালে সেখান থেকে পালিয়ে আদাবরের বাড়িতে আসেন তিনি। এরপর একটি গাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়।
যেখানে আত্মহত্যা করেছেন সেই বাড়িতেই তিনি (মান্নান) কেয়ারটেকার হিসেবে চাকরি করতেন। গত ১৫ জুন করোনা শনাক্তের পর থেকে মুগদা হাসপাতালে ভর্তি হন মান্নান। সেখান থেকে পালিয়ে এসে গলায় ফাঁস দেন। তার স্ত্রী ও এক ছেলেও করোনা আক্রান্ত। তারা বাসায় আইসোলেশনে আছেন।
শনিবার সন্ধ্যায় আদাবর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মোমিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘সকালে স্থানীয়দের ফোন পেয়ে আদাবর ১৭/১৮ হোসেন হাউজিংয়ের সেন ম্যানশন নামে একটি বাড়ির পাশে কাঁঠাল গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় আব্দুল মান্নানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মান্নান ওই বাড়ির কেয়ারটেকার হিসেবে চাকরি করতেন। ১১ তলার ছাদের একটি রুমে স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে থাকতেন। তার স্ত্রী-সন্তান ওই অ্যাপার্টমেন্টের বাসায় আইসোলেশনে আছেন।’