[english_date] | [bangla_day]

জুয়েলারি শিল্প রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বাজুসের ৩ দাবি

চিটাগাং মেইল ডেস্ক:  জুয়েলারি শিল্প রক্ষায় অলংকার বিক্রয়মূল্যের ভ্যাট হার ও কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক হার কমানোসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।

বুধবার (৯ জুন) বাজুস সভাপতি এনামুল হক খান ও সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা স্বাক্ষরিত এক আবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

YouTube player

তিন দাবির বিষয়ে আবেদনে বলা হয়, বিশ্বের অন্যান্য দেশে জুয়েলারি খাতে আরােপিত ভ্যাট হার ও বাংলাদেশের গ্রাহকদের প্রকৃত অবস্থা বিবেচনায় এনে সর্বমােট ১.৫ শতাংশ ভ্যাট অথবা শুধুমাত্র গহনার মজুরির উপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরােপ করা হোক। এ দাবি বাস্তবায়ন হলে জুয়েলারি খাত থেকে সরকার দ্বিগুণ রাজস্ব পাবে। জুয়েলারি তৈরির কাঁচামাল ( স্বর্ণবার ) আমদানি পর্যায়ে ভরি প্রতি ( ১১.৬৬৪ গ্রাম ) ২ হাজার টাকা কাস্টমস ডিউটি ১ হাজার টাকা করা হোক।

তৃতীয় দাবিতে বলা হয়, আমদানিকৃত স্বর্ণালংকার তৈরির কাঁচামাল দেশের জুয়েলার্স ৬.৩ ফরম পূরণের মাধ্যমে ৫ শতাংশ ভ্যাট প্রদান করে গােল্ড ডিলারদের কাছ থেকে ক্রয় করে। পরবর্তীতে ক্রেতাদের কাছ থেকে বিক্রয় পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট আহরণ করে সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করছে। ফলে জুয়েলারি খাতে মোট ১০ শতাংশ ভ্যাট বিদ্যমান। এজন্য ক্রয়কৃত স্বর্ণবারের উপর জুয়েলার্স ব্যবসায়ীকে রেয়াত সুবিধা প্রদান করার করার দাবি জানানো হয়েছে।

YouTube player

আবেদনে বলা হয়, ২০১৮ সালে জুয়েলারি শিল্পের রক্ষাকবচ স্বর্ণ নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়। কিন্তু বিদ্যমান ভ্যাট অব্যবস্থাপনার কারণে জুয়েলারি ব্যবসা আজ জুয়েলার্সদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্বর্ণ একটি শতভাগ আমদানি নির্ভর ধাতু হওয়া সত্ত্বেও গ্রাহক পর্যায়ে সমূদয় মূল্যের উপর ৫ শতাংশ ভ্যাট বিদ্যমান। যেখানে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ভ্যাট হার ৩ শতাংশ। তাছাড়া গ্রাহকদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য অনেক ক্ষেত্রেই ওই দেশের দোকানিরা ভ্যাট ছাড়াই গহনা বিক্রি করছেন। অন্যদিকে বাংলাদেশের উচ্চবিত্ত গ্রাহকরা উচ্চ হারের ভ্যাট প্রত্যাখ্যান করে ডিউটি ফ্রি সুবিধায় মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, দুবাই, সিঙ্গাপুরসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে গহনা ক্রয় করছেন। এতে ক্ষতির শিকার হচ্ছেন জুয়েলারি শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।

এ অবস্থায় সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে জুয়েলারি শিল্প রক্ষায় ও শতভাগ ভ্যাট আদায় নিশ্চিত করতে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেটে উল্লেখিত প্রস্তাবনাসমূহের বাস্তবায়নের নির্দেশ প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাজুস।

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

পাঠক প্রিয়