নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার ৪নং চরম্বা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মহাজন মসজিদ গেইটের মূল সড়ক হইতে শাহ ছোবহানিয়া আদর্শ মহিলা দাখিল মাদ্রাসা গেইট পর্যন্ত যানবাহন ও সর্বসাধারণের চলাচলের রাস্তায় অবৈধভাবে গেইট ও দানবাক্স নির্মাণ করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে একটি প্রভাবশালী মহল।
এই বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ হোছাইন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, শাহ ছোবহানিয়া আদর্শ মহিলা দাখিল মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ হোছাইন এর পিতা শাহ মোহাম্মদ আবদুছ ছোবহান ২০১৬ সালে রেজি:কৃত ৪৭৬/১৬নং দলিলমূলে ২ গণ্ডা সম্পত্তি খরিদ পূর্বক নিজনামে নামজারী খতিয়ান নং ৪২৬৯ সৃজন করত: ভোগ দখলে স্থিত আছেন।
উক্ত সম্পত্তি ক্রয়ের বহু আগে থেকেই দর তামাদি উর্দ্ধকাল যাবৎ বসতভিটা চলাচলের রাস্তা ও গাড়ি চলাচলের রাস্তা হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিলো। একদল কুচক্রী মহল মাদ্রাসার প্রতি ইর্ষান্বিত হয়ে জোরপূর্বক অবৈধভাবে পিলার নির্মাণ,এস.এস.পাইপ দ্বারা গেইট নির্মাণ ও দানবাক্স স্থাপন করিয়া সর্বসাধারণ ও যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন।

প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারীরা হলেন, লোহাগাড়া উপজেলার ৪নং চরম্বা ইউনিয়নের নাছির মোহাম্মদ পাড়ার আবদুল মদন এর ছেলে মোহাম্মদ শাহজাহান (৪৫), মৃত আবদুর রশিদের ছেলে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর (৩০) ও আমির সওদাগরের ছেলে মোহাম্মদ ছাদেক (২৫) সহ অজ্ঞাত আরো ৫/৬ জন।
এই কার্যকলাপ বন্ধের নিমিত্তে ১৫/০৭/২০২০ ইংরেজী লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ১৬/০৭/২০২০ ইংরেজী এস.পি. সার্কেল বরাবরে অভিযোগ দাখিল করা হয় এবং একই তারিখে লোহাগাড়া থানায় সাধারণ ডায়েরী নং ৬১৬ দায়ের করা হয়।
সর্বশেষ ২১/০৭/২০২০ইংরেজী তারিখে প্রতিকার চেয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (দক্ষিণ) চট্টগ্রাম বরাবর ফৌজদারী কার্যবিধি ১৪৭ ধারামতে মিছ মামলা ৫৪৩/২০ দায়ের করিলে আদালত শুনানি অন্তে শঅন্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য ওসি লোহাগাড়া কে আদেশ প্রদান করেন।
পরবর্তীতে মামলার কানুনগো সরেজমিনে পরিদর্শন করে এটিকে রাস্তা ঘোষণা দিয়ে তিনি যে প্রতিবেদন দাখিল করেন তাতে সহকারী কমিশনার ভুমি একমত পোষণ করে উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করেন। আদালত শুনানি মতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৪৭ ধারা মতে প্রসেডিং ড্র করেন এবং বর্তমানে মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
মামলা বিচারাধীন থাকা সত্ত্বেও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারীরা আদালতের আদেশ অমান্য করে এবং প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জনগণ ও যানবাহন চলাচলের রাস্তায় এখনো গেইট ও দানবাক্স স্থিত রেখেছে।
এই বিষয়ে অভিযোগকারী শাহ ছোবহানিয়া আদর্শ মহিলা দাখিল মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ হোছাইন জানান, আদালতের বিচারাধীন থাকার পরও জনসাধারণ ও মাদ্রাসা ছাত্রছাত্রীদের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি গেইট ও দানবাক্স নির্মাণ করে কিভাবে দখল করে রাখে তা আমার বোধগম্য নয়। আমি জনস্বার্থে মিডিয়ার মাধ্যমে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।