কুতুবদিয়া প্রতিনিধি: সাগরে ফের শুরু হয়েছে জলদস্যুর উপদ্রব। সেই সাথে জেলে পরিবারে শুরু হয়েছে আতংক। গেল ২ দিনেই কুতুবদিয়ার ৩টি ফিশিং ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
এফবি মামুন ফিশিং ট্রলারের মালিক আব্দুর রশিদ কোম্পানি বলেন, ২৭ আগস্ট ১৬ জন মাঝি-মাল্লা নিয়ে এফবি মামুন নামের ট্রলারটি সাগরে মাছ ধরতে যায়। মাছ ধরে ৩১ আগস্ট রাতে কুলে ফেরার পথে রাত ১০টার দিকে জাহাজহারী নামক এলাকায় জলদস্যুর কবলে পড়ে। জলদস্যুরা বোটের মাঝি-মাল্লাদের মারধর করে সব মালামাল লুঠ করে নিয়ে যায়।
ঘটনার পরে জলদস্যু কবলিত ট্রলারটি ভাসতে থাকে। সাগরে ভাসতে ভাসতে অন্য একটি ফিশিং ট্রলারের সাথে দেখা হলে তাদের সহযোগিতায় কুতুবদিয়া বড়ঘোপ ঘাটে পৌঁছে। পরে ট্রলারের মালিক বিষয়টি নিয়ে কুতুবদিয়া থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন বলে জানান।
তিনি আরো জানান, একই এলাকার ভূসা কোম্পানির ১টি ও বড়ঘোপ অমজাখালী এলাকার মাহমুদুল করিম কোম্পানির ১ টি সহ মোট ৩টি ফিশিং ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
কুতুবদিয়া উপজেলা মোট মালিক সমিতির আহ্বায়ক জয়নাল আবেদীন জানান, ইতোমধ্যে ৫টি ফিশিং ট্রলারে ডাকাতি হয়েছে বলে জেনেছি। দীর্ঘদিন লকডাউন এবং সেই সাথে ৬৫ দিন সাগরে মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকার পরও ধার-কর্জ করে সাগরে মাছ ধরার জন্য ট্রলার নিয়ে জলদস্যু আতঙ্কে ভুগছে ট্রলার মালিক ও মাঝি-মাল্লারা। এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা ও প্রতিকারের জন্য সরকার ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তিনি।
কুতুবদিয়া থানার ওসি মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, সাগরে কয়েকটি ফিশিং ট্রলার ডাকাতি হয়েছে বলে ট্রলারের মালিকরা জানিয়েছেন। ডাকাতির ঘটনায় থানায় দুই-একটি সাধারণ ডায়েরিও লিপিবদ্ধ হয়েছে। এ ব্যাপারে উচ্চ মহলে যোগাযোগ করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।









