থানচি প্রতিনিধি: সম্প্রতি ২৭ এপ্রিল ভয়াবহ আগুনে পড়ে ছাই হয়ে যায় উপজেলার একমাত্র ব্যবসায়ী প্রাণ কেন্দ্র থানচি বাজার। আগুনে পুড়ে যায় প্রায় তিনশোর মতো দোকান পাঠ। যার মধ্যে অনেকে এখনো আর্থিক সংকটের কারনে দোকান তৈরী করতে পারেনি। যার কারণে কর্মহীন হয়ে পড়েছে অনেক ব্যবসায়ী। আবার অনেকে পেশা বদলিয়ে অন্য পেশায় ঝুকে পড়ছে। এর আগে নাইদারি পাড়ার একটি মারমা সম্প্রদায়ের বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। জুমের চাষ করা বাড়িতে মজুদ রাখা ধান, গৃহপালিত পশু, গাছপালা ইত্যাদি।
বান্দরবান গণপুর্ত বিভাগের বাস্তবায়নে ২৭ জুলাই ২০১৭ সালে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ষ্টেশনের নির্মান কাজ শুরু হয় থানচিতে। যার নির্মান কাজ এখনো শেষ হয়নি।থানচি বাজারের পশ্চিম পাশে থানচি বান্দরবান সড়কের দক্ষিনে ২০১৭ সালের জুলাই মাসে নিয়ম অনুযায়ী এক বছরের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলে ও তা তিন বছরে ও শেষ হয়নি।
এই বিষয়ে থানচি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদিন সিকদার জানান, আমাদের এই বাজারটি চারবার আগুনে পড়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ১৯৯৭ সালের ডিসেম্বর, ২০০৬সালের ৬ই অক্টোবর এবং ২০১৭ সালের জুলাই মাসে।
সুত্রে জানা যায়, ২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়। কিন্তু গণপুর্ত বিভাগ (পিডব্লিউডি) দরপত্র আহবান করে দুই কোটি ৮৩ লাখ টাকায় পরে (পিডব্লিউডি) বর্ধিত ২৪ লাখ টাকা ব্যয়সহ প্রকল্পের প্রক্কলিত ব্যয় সংশোধনের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনটির ভবন নির্মান কাজ প্রায় শেষ নিচে ফ্লোর,বারান্দা কিংবা পিছনের অংশের কাজ চলমান। কথা হয় নির্মান কাজের ম্যানেজার পরিচয় দেওয়া মোহাম্মদ রানার সাথে। কবে শেষ হবে নির্মান কাজের সমাপ্তি জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই বিষয়ে কন্ট্রাকটার স্যার বিস্তারিত জানবেন। ফোন নাম্বার চাইলে বলেন ওনার ফোন বন্ধ আছে ওনি বান্দরবানের বাইরে আছেন আমি ফোন দিয়েছি ফোন বন্ধ আছে বাইরে গেলে ফোন বন্ধ রাখে।
দেখা হয় সাইট ইঞ্জিনিয়ার মোঃ বিল্লালের সাথে, কবে নাগাদ শেষ হবে জানতে চাইলে প্রতিবেদককে তিনি জানান, আমি এসেছি সবে একমাস হলো । চেষ্টা করবো মাস দেড়েকের মধ্যে কাজ কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেওয়ার।