রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি: দীর্ঘ চারমাস দোকান বন্ধ। কয়েকদিন আগে দোকান খোলার নির্দেশ দিলেও করোনার কারণে নেই কোন জাঁকজমক পূর্ণ বিয়ে। যে কটা বিয়ে হচ্ছে তাও ঘরোয়া পরিবেশে শেষ হচ্ছে। চারমাসের দোকান ভাড়া ১০হাজার টাকা। প্রথম দুই মাস সঞ্চয় ভেঙে দোকান ভাড়া দিয়েছি। পরবর্তী দুই মাস টিউশনি করে দোকান ভাড়া দিতে হয়েছে।
অনেকের কাছে হাত পেতেছি, দোকান মালিককে অর্ধ ভাড়া মওকুফের জন্য অনুরোধ করেছি কিন্তু তিনি এসব মাথায় নেন না। দোকানও ছাড়তে পারছি না। গ্রাজুয়েশন শেষ করে বেকার বসে থাকা ত শোভা পায় না। সে কারণে অল্প পুঁজি দিয়ে এই দোকানটা দিয়েছিলাম সাবলম্বী হওয়ার উদ্দেশ্যে। কয়েকদিন যাবত টিউশনিও বন্ধ সামনের দোকান ভাড়া গুলো কিভাবে দেব সেটাও আমার জানা নেই। বাড়িতে আহমরি কোন টাকা নেই যে বাড়ি থেকে এনে দেব।
কথাগুলো বলছিলেন রাঙ্গুনিয়া উপজেলার লালানগর ইউনিয়নের আলমশাহপাড়া এলাকার বিসমিল্লাহ ফুলবাড়ীয়া ইভেন্টের সত্বাধীকারী আরফাতুল ইসলাম(২৬)। তিনি বলেন এই করোনা কালে সবাই কোন না কোন সহযোগিতা পেয়েছে। কিন্তু আমরা তো কিছুই পেলাম না। রাস্তায় দাঁড়িয়ে ত্রাণ নেওয়াটাও তো সম্ভব না। সাহায্য সহানুভূতি হিসেবে চেয়েছিলাম অন্তত অর্ধ দোকান ভাড়া মাফ কিন্তু তাও ফেলাম না।
তিনি আরো বলেন, পরিস্থিতি কখন ঠিক হবে কখন বিয়ে পড়বে কখন স্টেইজ সাজাবো তার কোন হিসাব নেই। করোনা ভাইরাস যেন, দিন দিন অগ্নিশিখার দিকে টেনে নিচ্ছে। মালা গাঁথা আর স্টেইজ সাজানোর কৌশল জানা থাকলেও এই পরিস্থিতিতে দোকান ভাড়া যোগান দেওয়ার মতো কৌশল জানা নেই এই যুবকের। তার মতো এমন অনেকেই আছে যাদের করোনা কালে জীবনের চাকা থমকে গেছে। তাদের শরীরে কষ্ট, পেটে কষ্ট, মনে কষ্ট কিন্তু দেখার কেউ নেই!!!