কুতুবদিয়া প্রতিনিধি: কুতুবদিয়ার শীর্ষ মাদক কারবারি আবু জাফর প্রকাশ জুনাইয়ার মাদকের ডেরায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করেছে কুতুবদিয়া থানা পুলিশ। আটক জুনাইয়া বড়ঘোপ দক্ষিণ অমজাখালী ৪ নং ওয়ার্ডের সিরাজুল ইসলামের ছেলে। তার বিরুদ্ধে এর অনেক মাদকের মামলা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯জুলাই) দিবাগত রাত ২ টার দিকে মাদকের আসরে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। এ সময় আসরে থাকা সিন্ডিকেট সদস্যরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
এলাকাবাসী জানান, এক যুগ ধরে জুনাইয়া ও তার পরিবার মাদক বিক্রি করে আসছে। তার বাসায় মাদক সেবনের আসর বসে নিয়মিত। তার নেতৃত্বে রয়েছে মাদক বিক্রির একটি সিন্ডিকেট। সিন্ডিকেটে রয়েছে তার স্ত্রী রিনা আকতার, ভাই আবু তৈয়ব, পুলিশের অভিযানের খবরে তারা পালিয়ে গেলেও পুলিশের কৌশুলী অভিযানে আটক হয় মাদক কারবারী জুনাইয়াকে। ইতোপূর্বে তার মাদকের ব্যবসা বন্ধ করতে হস্তক্ষেপ কামনা করে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার ও কুতুবদিয়া থানা ওসি বরাবর এলাকাবাসী গণস্বাক্ষর দায়ের করেছে।
থানা সূত্রে জানা গেছে, কুতুবদিয়ার নবাগত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম সফিকুল আলম চৌধুরীর নির্দেশে গোপন সংবাদের মাদক কারবারি জুনাইয়ার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এসময় অভিযানে নেতৃত্ব দেন কুতুবদিয়া থানার সেকেন্ড অফিসার মোসলেম উদ্দিন বাবলু ও সাথে ছিলেন এসআই সঞ্জয় সিকদার, এএস আই আনোয়ার হোসেন সহ সঙ্গীয় ফোর্স। তার বিরুদ্ধে থানায় অনেক মামলা রয়েছে, তন্মধ্যে মামলা নং-৩/৩২,২/৩৬,১১/১৭, ১৩/৫৯,১২/৫৭ অন্যতম। যার সবগুলোই সংশ্লিষ্ট ধারায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলা বলে জানা গেছে ।
কুতুবদিয়া থানার নবাগত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম শফিকুল আলম চৌধুরী জানান, মাদক ব্যবসায়ী যতই শক্তিশালী হোক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। কুতুবদিয়াবাসিকে একটি মেসেজ দিতে চাই- সন্ত্রাসী, মাদক কারবারি, ডাকাত, জলদস্যুদের আটক করতে মাননীয় পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসাইন স্যারের নির্দেশে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করবো। এতে কুতুবদিয়ার সকল মানুষের সহযোগিতা কামনা করছি।
ওসি আরো জানান, আটক জাফর আলম প্রকাশ জুনাইয়ার বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর অনেক অভিযোগ। তার বিরুদ্ধে অর্ধ-ডজন মাদক মামলা আছে। মাদকের আসরের খবর পেয়ে তৎক্ষনাৎ অভিযান চালানো হয়। ৩০ পিচ ইয়াবা সহ তাকে আটক করা হয়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে, যার মামলা নম্বর-৩। তার সিন্ডিকেটে আরো যারা রয়েছে শীগ্রই তাদেরও আইনের আওতায় আনতে অভিযান চালানো হবে।
এদিকে, শীর্ষ এই মাদককারবারিকে আটকের খবরে এলাকাবাসী খুশি হয়েছে এবং তারা নবাগত ওসি একেএম শফিকুল আলম চৌধুরীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, মাদক কারবারী আটকের পর থানা থেকে ছাড়িয়ে নিতে মোটা অংকের টাকা নিয়ে মিশনে নেমেছে তার সহযোগী ও প্রভাবশালী একটি সিন্ডিকেট। তাদেরকে চিহ্নিত করে রাখতে থানা পুলিশের অনুরোধ জানান এলাকাবাসী।