[english_date] | [bangla_day]

শাহ আমানত বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে প্রস্তুতি

ডেস্ক রিপোর্ট: বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে টানা দুই মাসের বেশি সময় পর চালু হচ্ছে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট। এ লক্ষ্যে বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি।

শনিবার (৩০ মে) আকাশপথের যাত্রীদের সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা, এয়ারলাইন্সগুলোর কাউন্টারে মাস্ক ও গ্লভস, জুতোর তলা জীবাণুমুক্ত করার জন্য ফুটম্যাট বসানো, স্বয়ংক্রিয়ভাবে শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষার ব্যবস্থা, টার্মিনাল ভবনে দূরত্ব পদচিহ্ন স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে।

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার সারওয়ার-ই-জামান বলেন, কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী যাত্রী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শতভাগ স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে কাজ করছি আমরা। প্রথমত আমরা সব যাত্রীকে পার্কিং এরিয়াতে রিসিভ করবো। সেখানে জীবাণুমুক্ত করা ট্রলি রাখা থাকবে। যাত্রী সাবান দিয়ে হাত ধোবেন। ট্রলি নেবেন। নির্দিষ্ট এয়ারলাইন্সের কাউন্টার থেকে গ্লভস ও মাস্ক সংগ্রহ করে পরবেন। টার্মিনাল ভবনে ঢোকার আগে মেডিক্যাল টিম যাত্রীর তাপমাত্রা পরীক্ষা করবে। এরপর দূরত্ব পদচিহ্ন অনুযায়ী দাঁড়িয়ে বোর্ডিং পাস সংগ্রহ করবেন।

তিনি বলেন, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শতভাগ স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধ পরিকর। প্রয়োজনে কর্তৃপক্ষ কঠোরভাবে আইনের প্রয়োগ করবে। একই সঙ্গে আমরা চাইবো, করোনাকালে যাত্রীদের বিদায় কিংবা রিসিভ করতে স্বজনরা না আসুক।

সূত্র জানায়, বিমানবন্দরে দায়িত্বরত চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর, স্বাস্থ্য অধিদফতর, উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থাও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চালু উপলক্ষে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।

সূত্র জানায়, ২০১৯ সালে শাহ আমানত বিমানবন্দর দিয়ে ৯টি আন্তর্জাতিক রুটসহ ১৭ লাখ ৭৮ হাজার যাত্রী গমনাগম করেন। রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, দেশের বেসরকারি উড়োজাহাজ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের বাইরে তিনটি বিদেশি উড়োজাহাজ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের সপ্তাহে ৫৬০টি, দৈনিক ৪০টি ফ্লাইট ওঠানামা করতো যাত্রী ও কার্গো নিয়ে। ২০১৯ সালে ২ হাজার ৬৯৩ টন কার্গো রফতানি ও ৬ হাজার ৮৮১ টন কার্গো আমদানি হয়েছিলো এ বিমানবন্দর দিয়ে। গত ১০ বছরে ফ্লাইট সংখ্যা বেড়েছে ১ দশমিক ৮ গুণ, যাত্রী বেড়েছে ৩ দশমিক ১২ গুণ এবং কার্গো শিপমেন্ট বেড়েছে ৮ দশমিক ৯ গুণ।

সুত্র: বাংলানিউজ।

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

পাঠক প্রিয়