[english_date] | [bangla_day]

চীনের সেনাবাহিনীর যুদ্ধের প্রস্তুতি

মেইল ডেক্সঃ চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তার দেশের সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন।

গতকাল মঙ্গলবার ভারত সীমান্তে উত্তেজনার পর বেজিংয়ে সংসদীয় অধিবেশনের সময় ‘পিপলস লিবারেশন আর্মি’ ও ‘পিপলস আর্মড পুলিশ ফোর্স’-এর প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে তিনি এ নির্দেশ দেন।

লাদাখ সীমান্তে ভারত ও চীনের সেনাবাহিনীর মধ্যে বাড়তে থাকা উত্তেজনার মধ্যেই এই নির্দেশ দিলেন শি জিনপিং।

যদিও চীনা প্রেসিডেন্ট কোনো বিশেষ দেশ বা প্রতিপক্ষের নাম উল্লেখ করেননি।

তবে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাতের কারণে চীনা প্রেসিডেন্টের বক্তব্যকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে নয়াদিল্লি।

‘জিনহুয়া নিউজ এজেন্সি’র বরাতে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

শি জিনপিং বলেন, সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করে তুলতে হবে। সে জন্য সামগ্রিক প্রশিক্ষণ জরুরি। চীনের সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং দেশের কৌশলগত স্থিতিশীলতার জন্য যুদ্ধের প্রস্তুতি রাখতে এই নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

তার আগে মোদি ও রাজনাথ সামরিক বাহিনীর কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও প্রধানমন্ত্রীর কথা হয়েছে। আগামীকাল সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজমুকুন্দ নরবণেও বাহিনীর শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

ভারতের কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সীমান্তরেখায় তৎপর রয়েছে ভারত। তাদের দাবি, ভারত বরাবরই সীমান্তের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। একই সঙ্গে এও জানিয়ে দেয়া হয়েছে, ভারত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

গত কয়েক দিন ধরেই লাদাখ ও উত্তর সিকিমের সীমান্তরেখায় ভারত ও চীনের সেনা মোতায়েন বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে উত্তেজনার পারদ ক্রমশই বাড়ছে।গত ৫ মে ২৫০ চীনা সেনা ও ভারতীয় সেনার মধ্যে সংঘর্ষের পর থেকেই পূর্ব লাদাখের পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হয়েছে।

ওইদিন ভারতীয় ও চীনা সেনা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছিল লোহার রড, লাঠি নিয়ে। এমনকি পাথর ছোড়াও হয়েছিল। জখম হয়েছিলেন উভয়পক্ষের সেনারাই। প্রসঙ্গত লাদাখ থেকে অরুণাচল প্রদেশ। প্রায় তিন হাজার ৪৮৮ কিলোমিটারজুড়ে চীন-ভারত সীমান্ত অবস্থিত।

দিল্লির দাবি, ২০১৫ সাল থেকে চীনা সেনারা দফায় দফায় ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছে। ৮০ ভাগ ক্ষেত্রেই প্রকৃত সীমান্ত রেখা লংঘনের ঘটনা ঘটেছে চারটি জায়গা দিয়ে। এর মধ্যে তিনটি অবস্থিত পূর্ব লাদাখে ও একটি পশ্চিম সেক্টরে।
সীমান্তে উত্তেজনা, পাল্টাপাল্টি অভিযোগ অনেক দিন ধরে চলে আসলেও প্রেসিডেন্ট শি’র এই নির্দেশের পর করোনা যুদ্ধের পাশাপাশি আরেকটি যুদ্ধের ইঙ্গিত পাচ্ছে বিশ্ববাসী।

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

পাঠক প্রিয়