ডেস্ক রিপোর্ট : কিছুদিন যাবৎ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একের পর এক বিতর্কিত পোস্ট দিয়ে দেশের মানুষের কাছে চরম ঘৃণার পাত্রে পরিণত হয়েছিলেন ‘সা রে গা মা পা-২০১৯’ এর দ্বিতীয় রানার্সআপ মাঈনুল আহসান নোবেল। শুধু তাই নয় পোস্টের কমেন্ট বক্সে বিভিন্ন নারীর শ্লীলতাহানি করতেও দেখা গেছে রাতারাতি তারকা বনে যাওয়া এই গায়ককে সাথে তর্কেও জড়িয়ে পড়েন। এসব চোখ এড়ায়নি পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের।
শুধু তাই নয় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব)ও পর্যবেক্ষণ করে নোবেলকে। এরপর তাকে র্যাব ২ কার্যালয়ে ডাকা হয়। সেখানে জানতে চাওয়া হয় সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন কর্মকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে।
এর কারণ হিসেবে নোবেল র্যাবকে জানায় তার আসন্ন একটি গানকে কেন্দ্র করে ‘মার্কেটিং পলিসি’ ছিল এসব। এ বিষয়ে র্যাবের এডিশনাল এসপি মনির জামান বলেন, ‘নোবেলম্যানকে নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে, আর বোধহয় দরকার নেই। উনি আমাদের দেশের একজন প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী; যিনি কিনা আমাদের প্রতিবেশী দেশেও ব্যাপক জনপ্রিয়।’
র্যাবের এই কর্তা বলেন, ‘নোবেলম্যান তার নিজস্ব ফেসবুক পেইজ Noble Man এ সম্প্রতি যা বলেছেন তা ওনার আসন্ন নতুন গান “তামাশা” কে প্রমোট করার জন্য। কাউকে কষ্ট দেয়াটা ওনার উদ্দেশ্য ছিলনা। তারপরও যদি কেউ কষ্ট পেয়ে থাকেন তাহলে উনি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এটিই ওনার বক্তব্য।’
নোবেল নিজেও তার অভিমত ফেসবুকে জানিয়ে দিয়েছেন তার মার্কেটীং পলিসির অংশ ছিল এসব। যদিও ভক্তরা মন্তব্যে তার এই পলিসিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। এরপরই গতকাল রোববার (২৪ মে) রাতে ফেসবুকে একটি ভিডিও প্রকাশ করে সকলের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।
ভিডিওতে দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ কাউকে কষ্ট দেয়া আমার উদ্দেশ্য ছিলনা। এটা আমার নতুন গান ‘তামাশা’ কে প্রমোট করার একটি মার্কেটিং পলিসি ছিল। তারপরও যদি কেউ কষ্ট পেয়ে থাকেন তাহলে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। সকলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।’