প্রতিবেদকঃ৮ই মে বিশ্ব রেড ক্রস রেড ক্রিসেন্ট দিবস-২০২০ উপলক্ষে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি চট্টগ্রাম জেলা ও সিটি ইউনিটের উদ্যোগ যুব রেড ক্রিসেন্ট, চট্টগ্রামের বাস্তবায়নে হতদরিদ্র মানুষদের উপহার স্বরূপ,বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, জাতীয় সদর দপ্তর হতে প্রেরিত ফুড প্যাকেজ বিতরণ গতকাল
৮.৫.২০ বিকাল ৪ টায় চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের মাঠে সীমিত পরিসরে মর্যাদার সাথে ভাবগাম্ভির্য পরিবেশে পালিত হয়।
সম্প্রতি কোভিড-১৯ সংক্রামণের ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে রেড ক্রিসেন্ট চট্টগ্রামের ঐতিহ্যের ধারা অব্যাহত রয়েছে এবং জেমিসন রেড ক্রিসেন্ট মাতৃসদন হাসপাতালের কর্মচারীদের মাঝে রান্না করা ইফতার বিতরণ করা হয়।
সোসাইটির ম্যানেজিং বোর্ড সদস্য ও চট্টগ্রাম জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. শেখ শফিউল আজম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও চট্টগ্রাম সিটি রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আ. জ. ম নাছির উদ্দীন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সেক্রেটারী আব্দুল জব্বার। এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের কার্যকরী পর্ষদ সদস্য এইচ.এম সালাউদ্দিন, সাফকাত জাহান, মহসিন উদ্দিন চৌধুরী ফয়সাল, আনোয়ার আজম, রেড ক্রিসেন্ট চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের ইউনিট লেভেল অফিসার আবদুর রশিদ খান, রেড ক্রিসেন্ট চট্টগ্রাম সিটি ইউনিটের ইউনিট লেভেল অফিসার ইয়াহিয়া বখতিয়ার, জেমিসন রেড ক্রিসেন্ট মাতৃসদন হাসপাতালের ইনচার্জ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।
যুব রেড ক্রিসেন্ট, চট্টগ্রামের যুব উপ প্রধান-২ মোঃ মঈনুল ইসলামের সঞ্চালনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, যুব রেড ক্রিসেন্ট, চট্টগ্রামের দপ্তর বিভাগীয় প্রধান আ.ন.ম তামজীদ, রক্ত বিভাগীয় প্রধান আমিনুল হক তারেক।
প্রধান অতিথি সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেন, আমরা সবাই একটা কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। আজকে শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্ব করোনা ভাইরাস সংক্রমণ দ্বারা আক্রান্ত। সারা বিশ্ব লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।
আপনাদের মাধ্যমে, সকল নগরবাসীর কাছে আহ্বান জানাই, সেটা হলো- আমাদের জীবনের গুরুত্ব আছে, জীবন মহামূল্যবান। জীবনের সাথে অন্য কোন কিছুর তুলনা হয় না, ঠিক তদ্রুপ তার পাশাপাশি জীবিকারও প্রয়োজন আছে।
আমি মনে করি, জীবন ও জীবিকা পরস্পর পরস্পরের পরিপূরক।
একটাকে বাদ দিয়ে আর একটা কখনও কল্পনা বা বাস্তবায়ন করা যায় না। যখন তোমার কাছে টাকা পয়সা থাকবে না, তখন তোমার মনে হবে জীবনটা একটা যন্ত্রণা।
আমরা কেউ বলতে পারি না কখন কি হবে?
বিশ্বের মধ্যে কোন গবেষক নিশ্চিত করে বলতে পারেনি যে, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণটা কখন বন্ধ হবে বা থামবে।
মানুষ মানুষের জন্য। এসময় সবার উচিত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো।
বিপদ থেকে মানুষকে উদ্ধার করা। যার যতটুকু আছে ততটুকু দিয়েই আত্মীয় স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও প্রতিবেশীদের সাহায্য সহযোগিতা করা।
রেড ক্রিসেন্টের কাজই হলো মানবতার কল্যণে কাজ করা,মানবতার ব্রত নিয়ে এগিয়ে আসা,মানুষের পাশে দাঁড়ানো মানুষের সেবা করা।
সারা বছর ব্যাপী রেড ক্রিসেন্ট মানবতার কাজ করে। তারই ধারাবাহিকতায় কোভিড-১৯ এর ক্লান্তিকালে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি চট্টগ্রাম জেলা এবং মহানগরীর মাঠ পর্যায়ে সরকারের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
আমি আপনাদের প্রতি অনুরোধ করবো, কোভিড-১৯ সংক্রমণটা যে হারে বাড়ছে , সবাই যদি সরকারী স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পারি, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা যদি পারিবারিক জীবন ও সামাজিক জীবনে বাস্তবায়ন করতে পারি, তাহলে সংক্রমণটা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে পারবো বলে আমার মনে হয়।
আর একটা কথা হলো, আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে। আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা আছে। যেখানে উন্নত দেশগুলো সব দিক দিয়ে আমাদের থেকে অনেক বেশি উন্নত হওয়ার পরও আমরা এখনও অনেক ভালো অবস্থানে আছি।
আমাদের উচিত সবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা।
স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা কোন কঠিন কাজ না, এটার জন্য অনেক বেশি অর্থের প্রয়োজন, তা ও কিন্তু না।
এটার জন্য আমি মনে করি যে,স্বদিচ্ছা
এবং মানসিকতার প্রযোজন। সব কিছুর আগে সবার হাত সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে। হাতের মাধ্যমেই সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
তাই সবার উচিত হাত পরিষ্কার রাখা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করা।
যদি আমরা এসব কাজ যথাযথভাবে পালন করতে পারি তাহলে আমরা কোভিড-১৯ থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখতে পারবো।
এছাড়াও দিনব্যাপী অন্যান্য কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসকদের মাঝে ইফতার প্রেরণ করা হয়।
