[english_date] | [bangla_day]

বিশ্বের যে ৫ স্থানে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ

ট্যুরিজম ডেস্ক: আধুনিক এই সময়ে মোবাইল ফোন ছাড়া একদিনও কল্পনা করা যায় না যেন। বিশেষ করে বাইরে বের হলে বা বেড়াতে গেলে এই ফোনের প্রয়োজন পড়ে আরও বেশি। কিন্তু এমনকিছু জায়গা আছে যেখানে বেড়াতে গেলেও আপনি সঙ্গে ফোন রাখতে পারবেন না। এমনকী মোবাইল ফোন বহন করার কারণে আপনাকে গুণতে হতে পারে জরিমানাও। শুনতে অদ্ভুত মনে হলেও এটি সত্যি। জেনে নিন এমন ৫ স্থান সম্পর্কে-

সিস্টাইন চ্যাপেল, ইতালি

ইতালির একটি বিখ্যাত উপসনালয় হলো সিস্টাইন চ্যাপেল। পবিত্র উপাসনালয় হওয়ার কারণে এই সিস্টাইন চ্যাপেলের ভেতরে কারও মোবাইল ফোন সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি নেই। এই গ্র্যান্ড চ্যাপেলে গেলে এর ছাদের অবিশ্বাস্য শিল্পকর্ম দেখে মুগ্ধ হবেনই। তাই কখনো এখানে বেড়াতে গেলে আগেভাগেই মোবাইল ফোনটি রেখে যাবেন।

তামিলনাড়ুর মন্দির

মোবাইল ফোন ব্যবহারে কঠোর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুর মন্দিরগুলোতেও। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ‘মন্দিরগুলোর শুদ্ধতা এবং পবিত্রতা বজায় রাখার জন্য’ রাজ্যের সমস্ত মন্দিরে মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছিল তামিলনাড়ু সরকার। মাদুরাইয়ের মীনাক্ষি আম্মান মন্দির, গুরুভায়ুর শ্রী কৃষ্ণ মন্দির এবং শ্রী ভেঙ্কটেশ্বর মন্দিরের ভিতরে ফোন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

অক্ষরধাম মন্দির, দিল্লি

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে দিল্লির এই মন্দির দর্শনের সেরা জায়গা বলে মনে করা হয়। কিন্তু নিরাপত্তার কারণে পর্যটকরা তাদের মোবাইল ফোন অক্ষরধাম মন্দির চত্বরে নিয়ে যেতে পারবেন না। সেখানে গেলে মোবাইল ফোন আপনাকে বাড়িতে রেখে যেতে হবে।

রাম জন্মভূমি কমপ্লেক্স, অযোধ্যা

উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যার রাম জন্মভূমি কমপ্লেক্সের সম্পূর্ণ এলাকায় মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ। শুধু কি মোবাইল ফোন? সেইসঙ্গে ক্যামেরা, ঘড়ি, বেল্ট এবং যেকোনো ইলেকট্রনিক গ্যাজেটও এখানে নিষিদ্ধ।

ইয়ালা জাতীয় উদ্যান, শ্রীলঙ্কা

শ্রীলঙ্কার এই বিখ্যাত জাতীয় উদ্যান ইয়ালা। এই উদ্যানে বন্যপ্রাণীদের রক্ষা করার জন্য এর ভেতরে মোবাইল ফোন বহন বা ব্যবহার নিষিদ্ধ রয়েছে ২০১৫ সাল থেকে। কারণ এর আগে সেখানকার গাইডরা বন্য প্রাণীদের দেখার জন্য ইচ্ছামতো মোবাইল ফোন ব্যবহার করছিলেন। যা প্রাণীগুলোর জন্য বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছিল। এরপর থেকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এলিট আইল্যান্ড রিসর্ট, ক্যারিবিয়ান বিচ

ক্যারিবিয়ান বিচের এলিট আইল্যান্ড রিসর্টে মোবাইল নিষিদ্ধ নীতি চালু করা হয়েছিল ২০১২ সালে। এখানকার সমস্ত সৈকতে নিষেধাজ্ঞা লেখা সাইনবোর্ড লাগানো রয়েছে। সেখানে চেক-ইন করার সময় এই নীতিগুলো সম্পর্কে পর্যটকদের জানিয়ে দেওয়া হয়।

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

পাঠক প্রিয়