[english_date] | [bangla_day]

খাতুনগঞ্জে বেড়েছে পেঁয়াজ-রসুনের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঈদের পর চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে বুধবার ১১ মে পর্যন্ত কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। সেই সঙ্গে কেজিপ্রতি ২০ টাকা বেড়েছে চীন থেকে আমদানি করা রসুনের দাম। ভারত থেকে পেঁয়াজ আসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পেঁয়াজের দাম বাড়ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, পেঁয়াজ আমদানি না হলে দাম আরও বাড়বে। পাশাপাশি বাজারে কম থাকায় রসুনের দামও বেড়েছে।

চট্টগ্রামের বৃহত্তর ভোগ্যপণ্যের বাজার খাতুনগঞ্জে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈদের আগের দিন ২ মে ২৭-২৮ টাকায় বিক্রি করা ভারতীয় পেঁয়াজ আজ মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৩৭ থেকে ৩৮ টাকায়। সেই সঙ্গে খাতুনগঞ্জে বেড়েছে দেশি পেঁয়াজের দামও। আজ দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৩ থেকে ৩৪ টাকায়। ঈদের আগে দেশি পেঁয়াজ কেজিপ্রতি বিক্রি হয়েছে ২৪ থেকে ২৬ টাকায়। এছাড়া দাম বেড়েছে রসুনের। ঈদের পর কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ২০ টাকা। ঈদের আগে রসুন বিক্রি হয়েছিল ৯০ থেকে ৯২ টাকা। আর আজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকায়।

 

YouTube player

খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজের বাজার হামিদুল্লাহ মিঞা মার্কেট কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন,
আমদানি অনুমতির (আইপি) মেয়াদ শেষ হওয়ায় ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। সরকার আমদানির অনুমতি দিচ্ছে না। দেশের বাইরে থেকে পেঁয়াজ না আসায় খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের সরবরাহ কম। তাই দাম বাড়ছে। আমদানি বন্ধ থাকলে দাম আরও বাড়বে।

তিনি আরও বলেন, খাতুনগঞ্জে আজ ভারতীয় পেঁয়াজ কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৭ থেকে ৩৮ টাকায়। আর দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৩ টাকায়। দ্রুত পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন তিনি।

খাতুনগঞ্জের কমিশন এজেন্ট মেসার্স আলীম ট্রেডার্সের মালিক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, পেঁয়াজের দাম ঈদের পর কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেড়েছে। ভারতীয় পেঁয়াজ আজ মানভেদে ৩৬ থেকে ৩৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঈদের আগের দিন সেই পেঁয়াজ বিক্রি করেছি ২৭ থেকে ২৮ টাকায়। বাজারে পণ্যের সরবরাহ কম, তাই দাম বেড়েছে। এছাড়া আইপি বন্ধ থাকার কারণেও দাম বেড়েছে। বাজারে এখন মিয়ানমারের কোনো পেঁয়াজ নেই বলেও জানান তিনি।

এই ব্যবসায়ী আরও বলেন, খাতুনগঞ্জে আজ চীন থেকে আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১১৩ থেকে ১১৪ টাকায়। ঈদের আগে ছিল ৯০ থেকে ৯২ টাকা। রসুনের সরবরাহ বাজারে কম দাবি করে তিনি বলেন, ঈদের বন্ধের কারণে রসুন আমদানি কম হয়েছে, জাহাজ ভিড়তে পারেনি, তাই দাম বেড়েছে।

মেসার্স মহিন ট্রেডার্সের মালিক মুহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ভারতীয় পেঁয়াজ মানভেদে আমার আড়তে ৩৫ থেকে ৩৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কোনো কোনো আড়তে ৪০ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে। আর দেশি পেঁয়াজ ৩৩ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঈদের পর থেকে আজ পর্যন্ত কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেড়েছে।

মেসার্স শাহাদাত অ্যান্ড ব্রাদার্সের মালিক মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, পেঁয়াজ ৩৮ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভারত ও মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আসা বন্ধ। এছাড়া সরকার পেঁয়াজের আইপি বন্ধ করে দিয়েছে। খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের সরবরাহ কম। আইপি খুলে দিলে দাম কমে আসবে।

তিনি বলেন, বাজারে পণ্যের সরবরাহ কম থাকার দাম বেড়েছে রসুনেরও। ঈদের পর থেকে দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ২০ টাকা।

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

পাঠক প্রিয়