নিজস্ব প্রতিবেদক: ঈদের পর দিন বুধবার চট্টগ্রামের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ঈদের দিন নানা ব্যস্ততার কারণে যারা ঘুরতে বের হতে পারেননি, তারাও আজ বেরিয়েছেন।
চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা, কনকর্ড ফয়’স লেক অ্যামিউজমেন্ট পার্ক, স্বাধীনতা পার্ক, শিশু পার্ক, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতসহ বিভিন্ন বিনোদনকেন্দ্রে পরিবার, বন্ধুবান্ধব নিয়ে সুন্দর সময় উপভোগ করছেন তারা। বুধবার (৪ এপ্রিল) সকাল থেকেই নানা শ্রেণি বয়সী মানুষের ভিড় ছিল বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে।
কনকর্ড ফয়’স লেক অ্যামিউজমেন্ট পার্কের ডেপুটি ম্যানেজার (মার্কেটিং) বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, আজ দ্বিতীয় দিনে প্রায় ৪৫০০ দর্শনার্থীর আগমন ঘটেছে। সকাল ১০টায় অনেক দর্শকের আগমন ঘটে। বৈরি আবহাওয়ার কারণে দর্শনার্থীদের সংখ্যা হঠাৎ করে কমে যায়। দুপুরের পরে আবহাওয়া ভালো হলে এরপরই নামে দর্শনার্থীদের ঢল।

তিনি বলেন, দর্শনার্থীদের প্রথম পছন্দ লেক ভ্রমণের মাধ্যমে প্রকৃতি উপভোগ করা। তাই এবার বোটের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। তরুণ প্রজন্মের বেশি পছন্দ ওয়াটার পার্ক সি ওয়ার্ল্ড। এখানে রয়েছে জল উৎসবে মেতে ওঠার জন্য আধুনিক সব রাইড। দেশের নানা প্রান্ত থেকেও এসেছে পর্যটক, ফয়’স লেকের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য অবস্থান করছে রিসোর্টে।
তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি এ বিনোদন কেন্দ্র হাসি মুখে আসা দর্শনার্থীরা সুন্দর সময় কাটিয়ে উৎসব মুখর অভিজ্ঞতা নিয়ে ঘরে ফিরুক।
চট্টগ্রামের চিড়িয়াখানায় ও ছিল দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। ৫০ টাকায় টিকিট কেটে মানুষ দলে দলে ঢুকছেন বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী দেখার জন্য।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় যাওয়া সানজিদা সুলতানা বলেন, দুই বছর করোনার কারণে বাসা থেকে বের হতে পারেনি। এ বছর ঈদে ছোট ভাই-বোনদের নিয়ে এসেছি পশু পাখি দেখতে।
চট্টগ্রামের বায়েজিদ থেকে স্বাধীনতা পার্কে ঘুরতে আসা মাহমুদা আক্তার বলেন, দুই বছর পরে ঘুরতে এসেছি পরিবারের সঙ্গে। এখানকার বিভিন্ন স্থাপনা দেখে ভালো লেগেছে।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ বলেন, করোনা মহামারির কারণে মানুষ দুই বছর ঈদের সময় চিড়িয়াখানায় আসতে পারেনি। এ বছর প্রচুর মানুষ চিড়িয়াখানায় আসছে।
এছাড়া লোকে লোকারণ্য ছিল চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, পারকি বিচ, শিশু পার্ক সিআরবিসহ বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে।