[english_date] | [bangla_day]

স্ত্রী-সন্তানসহ বন্ধুর মাথায় প্রকাশ্যে গুলি এএসআইয়ের !

চিটাগাং মেইল ডেস্ক:  ছুটি আবেদন না করেই রাতের আঁধারে কর্মস্থল খুলনার ফুলতলা থানা থেকে কুষ্টিয়ায় চলে আসেন এএসআই সৌমেন রায়। সকালে প্রকাশ্যে দিবালোকে সাবেক স্ত্রী-সন্তান ও স্ত্রীর ছেলেকে বন্ধুকে গুলি করে হত্যা করেন তিনি।

১৩ জুন রোববার বেলা সোয়া ১১টার দিকে শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাস্টমস মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন শাকিল (৩৫), আসমা (৩০) এবং রবিন (৬)। তাদের গুলি করে হত্যা করেন খুলনার ফুলতলা থানায় কর্মরত সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সৌমেন রায়। এসব তথ্য নিশ্চিত করেন কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসপি) মোস্তাফিজুর রহমান।

YouTube player

জানা গেছে, নিহতরা সকলেই কুমারখালীর নাটুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তবে তারা কুষ্টিয়া শহরে থাকতেন। গুলিতে নিহত শাকিল বিকাশের এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার সময় একটি দোকানের সামনে আসমা ও সৌমেন কথা বলছিলেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই হঠাৎ সৌমেন পিস্তল বের করে আসমার মাথায় গুলি করেন। গুলি তার মাথা ভেদ করে বেরিয়ে যায় এবং সঙ্গে সঙ্গে মারা যান। এরপর তিনি শাকিলকেও মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করেন। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় রক্ত দেখে শিশু রবিন দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু তাকেও ছাড়েননি সৌমেন। তেড়ে ধরে তার মাথায়ও গুলি চালান। এরপর সৌমেনকে ধরে পুলিশে খবর দেন এলাকার লোকজন।

YouTube player

জানা গেছে, বছরখানেক আগে আসমার সঙ্গে সৌমেনের বিয়ে হয়েছিল। রবিন আসমার আগের পক্ষের সন্তান। শাকিল ও সৌমেন বন্ধু ছিলেন। আসমার মাধ্যমেই সৌমেনের সঙ্গে শাকিলের বন্ধুত্ব হয়। আসমার আগে সৌমেনও আরেকটি বিয়ে করেন।

এ ব্যাপারে খুলনার এসপি মোহাম্মদ মাহবুব হাসান বলেন, আটক সৌমেন রায় ফুলতলা থানার এএসআই। আজ সকাল থেকে তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। তিনি ছুটি না নিয়ে আনঅফিশিয়ালি কুষ্টিয়ায় চলে গেছেন। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

পাঠক প্রিয়