[english_date] | [bangla_day]

বন্ধুত্বের কারণে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে চীন

চিটাগাং মেইল ডেস্ক: চীনে করোনার টিকার চাহিদা থাকা সত্ত্বেও বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।

বুধবার (৯ জুন) ‘বাংলাদেশ-চায়না ইকোনমিক অ্যান্ড ট্রেড রিলেশনস ইন দি আফটারমাথ অফ দি কোভিড-১৯ গ্লোবাল পেন্ডামিক’ বিষয়ক ভার্চুয়াল আলোচনায় তিনি একথা বলেন। ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) ও বাংলাদেশ-চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিসিসিসিআই) যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

YouTube player

লি জিমিং বলেন, এ মুহূর্তে চীনের অভ্যন্তরে কারোনা টিকার বিপুল চাহিদা রয়েছে। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক সরবরাহও খুব সীমিত। এর মধ্যেও বন্ধুত্বের কারণে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে চীন। সিনোফার্মের ৫ লাখ টিকা উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছে। সিনোভ্যাকের উপহারের আরও ৬ লাখ টিকা আসার অপেক্ষায়।

‘আমরা এখন চীনের ভ্যাকসিনের প্রকিউরমেন্টের বিষয়টি নিয়ে অপেক্ষা করছি। বাংলাদেশ-চীনের যৌথ উৎপাদনের আলোচনার অগ্রগতিও আশাব্যঞ্জক’- যোগ করেন চীনের রাষ্ট্রদূত।

চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন-বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বহুদিনের। ৪৫ বছর ধরে দুই দেশের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের লেনদেনে সুষম গতি বজায় রয়েছে। অর্থনীতি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ খাতে সহায়তা ক্রমাগত গভীর হচ্ছে। গত বছরের জুলাইতে বাংলাদেশকে ৯৭ শতাংশ পর্যন্ত শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়েছে চীন। ফলে চীনের বাজারে বাংলাদেশের বাণিজ্যের জন্য এটি নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। গত বছর বাংলাদেশ থেকে চীনের পণ্য আমদানি ২৮ শতাংশ বেড়েছে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ থেকে চীনের আমদানি আরও বাড়বে। দুই দেশের বাণিজ্যে ব্যালেন্সড তৈরি হবে।

তিনি বলেন, উভয় দেশের বাণিজ্য বাড়াতে বিদ্যমান শুল্কমুক্ত সুবিধা ছাড়াও এফটিএ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। তবে এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারকে আরও বেশি কাজ করতে হবে।

বাংলাদেশে চীনের বিপুল বিনিয়োগ রয়েছে জানিয়ে লি জিমিং বলেন, বিআরআই-এর অধীনে চীন বিভিন্ন উপায়ে যেমন অগ্রাধিকারযোগ্য ঋণ, বিনিয়োগ, প্রকল্প চুক্তি ও বিনামূল্যে সহায়তার মাধ্যমে বাংলাদেশের অবকাঠামো নির্মাণে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। শুধু এসব খাতই নয়, ফাইভ জি, হাই স্পিড রেল, মহাকাশ এবং ব্লু-ইকোনোমি, জলবায়ু পরিবর্তন, দারিদ্র্য নির্মূল, মেডিক্যাল ও স্বাস্থ্যসেবা এবং মানবসম্পদ উন্নয়নে চীনের কাজ করার আগ্রহ রয়েছে।

YouTube player

ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআই) গবেষণা পরিচালক ড. মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম ও চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব উজ জামান প্রমুখ।

আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে বিসিসিসিআই সভাপতি গাজী গোলাম মর্তুজা, ইআরএফ সভাপতি শারমীন রিনভী, বিসিসিসিআই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল মামুন মৃধা ও সিনিয়র সহসভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহ মো. সুলতান উদ্দীন ইকবাল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

পাঠক প্রিয়