[english_date] | [bangla_day]

লঞ্চের ডেক থেকে তরুণীকে কেবিনে নিয়ে সারারাত ধর্ষণ

চিটাগাং মেইল ডেস্ক:  লঞ্চের ডেক থেকে কেবিনে নিয়ে এক তরুণীকে রাত-ভোর ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। গত শনিবার (২৯ মে) দিবাগত রাতে হিজলা-ভাষাণচর-ঢাকা রুটের এমভি রাজহংস-১০ লঞ্চে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হিজলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অসিম কুমার সিকদার।

তিনি বলেন, ঘটনা শনিবার রাতের হলেও আজ (বুধবার, ২ জুন) দুপুরে ধর্ষণের শিকার তরুণী থানায় এসেছেন। আমরা তাদের সকল অভিযোগ শুনেছি। তিনি এ মুহূর্তে আমাদের সামনেই বসা রয়েছেন। ওই তরুণী লিখিত অভিযোগ দিলে মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হবে।

ওদিকে নিকটবর্তী কাজিরহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ওই তরুণী আমাদের থানায় এসেছিলেন। তার অভিযোগ মৌখিকভাবে শুনেছি। কিন্তু ঘটনাস্থল হিজলা থানার আওতায় হওয়ায় তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ দায়েরের জন্য বলেছি।

YouTube player

হিজলা থানা পুলিশের ওসি ভুক্তভোগীর বক্তব্যের বরাত দিয়ে জানান, অভিযুক্ত যুবক মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার মাধরায় গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে মাইদুল ইসলাম মাসুম। তারা পূর্ব পরিচিত। মূলত বিয়ের প্রলোভনে এবং ঢাকায় চাকরি দিয়ে দেবে বলে প্রলুব্ধ করে লঞ্চের কেবিনে নিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ তুলেছে।

ওই তরুণী জানান, সে লঞ্চের ডেকে বিছানা পেতে শুয়ে ছিলেন। গভীর রাতে মাসুম এসে তাকে বিছানাসহ কেবিনে নিয়ে যায়। আলাপচারিতার একপর্যায়ে তাকে মাসুম বিয়ে করাসহ তার নামে অর্ধনির্মিত ভবন লিখে দেওয়ার প্রস্তাব করেন। কিন্তু সে সম্মত না হলে একপর্যায়ে জবরদস্তি শুরু করে মাসুম এবং ওই রাতে কয়েক দফায় তাকে লঞ্চের কেবিনে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন।

এ সময় তিনি কান্নাকাটি করলে তাকে গ্রামে নিয়ে বিয়ে করার আশ্বাস দেন মাসুম। কিন্তু রোববার সকালে রাজধানীর সদরঘাটে লঞ্চ পৌঁছালে তাকে একা রেখে পালিয়ে যান মাসুম। সেখান থেকে ফিরে সোমবার মাইদুলের বাসায় গিয়ে তার বাবা খলিল হাওলাদারকে বিষয়টি জনালে তিনি দশ হাজার টাকা দিয়ে ম্যানেজ করতে চান। এরপরে কাজিরহাট থানায় অভিযোগ দিতে গেলে থানা থেকে হিজলা থানায় অভিযোগ দেয়ার জন্য বলেন। পরবর্তীতে আজ বুধবার ওই তরুণী হিজলা থানায় অভিযোগ করেছেন।

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

পাঠক প্রিয়