[english_date] | [bangla_day]

২৪ ঘন্টার মধ্যে পোর্ট কানেকটিং সড়কের অবৈধ স্থাপনা ও ড্রেইন দখলমুক্ত চাই : সুজন

চিটাগাং মেইল : চট্টগ্রামের সাগরিকা মোড় হতে নয়া বাজার পর্যন্ত সমস্ত অবৈধ স্থাপনা,ফুটপাতের উপর বসানো দোকানপাট ও স্তুপকৃত মালামাল আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।

সকালে সাগরিকা মোড় থেকে নয়াবাজার পর্যন্ত পোর্ট কানেকর্টি সড়ক উন্নয়ন কাজ সরজমিনে পরিদর্শন ও প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদানকালে তিনি এই নির্দেশনা দেন।

এসময় তিনি বলেন, চসিক প্রশাসক হওয়ার পুর্ব থেকে এই রাস্তার হালচিত্র আমাকে ব্যতিত করতো। তাই দায়িত্ব নেয়ার পর পোর্ট কানেকটিং সড়ক কাজ তড়িৎ গতিতে সম্পন্ন করার প্রতিজ্ঞা করেছি। পুরো নগরীর মধ্যে এই সড়কটি অতিগুরুত্বপূর্ণ অথচ কী অদৃশ্য কারণে এতদিন যাবত এইকাজ সম্পন্ন হলো না।

তিনি বলেন, আমি রাত-দিন এই রাস্তায় থাকবো,আমি দেখতে চাই এখানে বাঁধা কোথায়? যেখানে বাঁধা-সেখানেই লড়াই। আমি ছাত্র রাজনীতি করে এই পর্যায়ে এসেছি রাস্তায়-ই আমার রাজনীতি আমি রাস্তাতেই থাকবো এবং সমাধান আনবো। এসময় তিনি রাস্তার দুইপাশে অবস্থিত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান যারা অবৈধভাবে চসিকের ড্রেইন দখল করে জনচলাচলে বিঘœ ঘটাচ্ছে তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আজকে আমি আপনাদের একজন হয়ে বলে গেলাম, নিজ দায়িত্বে এসব অপসারণ করেন নচেৎ আগামীকাল আমাকে দেখবেন প্রশাসকের ভূমিকায়। এসব অবৈধ স্থাপনা না সরালে আগামী ২৪ ঘন্টা পর ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা ও জরিমানা গুনতে হবে।

এসময় ব্যবসায়ীরা নিজ দায়িত্বে সরিয়ে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন প্রশাসককে। চসিক প্রশাসক পায়ে হেঁটে দীর্ঘ পথ পরিদর্শণকালে স্থানীয় জনসাধারণ ও পথচারিদের সাথে তাদের সমসাময়িক দূর্ভোগ ও সমস্যার বিষয়ে আলাপ আলোচনা করেন। পোর্ট কানেকর্টি সড়কের কোথায় কি পদক্ষেপ নিলে বা কি ধরনের কাজ করলে ভালো হয় সে বিষয়েও অনেকের কাছে পরামর্শ গ্রহণ করে বলেন, ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে যে সময় নষ্ট হয়েছে তা আর সহ্য করা হবে না। এখন শুধু কাজ আর কাজ। এই দূর্ভোগ কোনভাবেই মেনে নেয়া যায়।

এসময় উপস্থিত শত শত এলাকাবাসী জড়ো হয়ে প্রশাসক সুজনের এহেন পদক্ষেপের জন্য সাধুবাধ জানান। প্রশাসক ও ঠিকাদার এলাকাবাসীকে আগামী সপ্তাহের মধ্যে দৃশ্যমান উন্নয়ন সড়ক উপহার দেয়ার প্রতিশ্রæতি ব্যক্তক করেন। ঠিকাদার মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, করোনা মহামারী ও মৌসুমী বৃষ্টির কারণে সড়ক উান্নয়নকাজে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে, যার কারণে এলাকাবাসীসহ সড়ক ব্যবহারকারীদের দূর্ভোগ চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। এখন নতুন প্রশাসক যেবাবে দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন সেভাবে কাজ সম্পন্ন করা হবে।

এসময় চসিক প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্ণেল সোহেল আহমদ, প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু সাদাত মোহাম্মদ তৈয়ব,সহকারী প্রকৌশলী আনোয়ার জাহান, উপসহকারী প্রকৌশলী সুমন সেন, বন্দর থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ ইলিয়াছ, মোরশেদ আলম, সিরাজদৌল্লা নিপু, মোহাম্মদ বাবুল, আতিকুর রহমান, ফেরদৌস আলমগীর প্রশাসকের সাথে উপস্থিত ছিলেন।

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

পাঠক প্রিয়