রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া থেকে রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার ইছাখালী আত্মীয় বাড়িতে এসেছিলেন ৫২ বছরের এক ব্যক্তি। এসেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকের পরামর্শে গত ৭ জুন নমুনা পরীক্ষা দিয়েছিলেন। রিপোর্ট পেতে বিলম্ব হওয়ায় এক পর্যায়ে তিনি নিজ বাড়িতে ফিরে যান।
দীর্ঘ ২০ দিন পর শনিবার (২৭ জুন) রিপোর্ট এলে জানা যায় তার করোনা পজিটিভ।
এভাবে ৭ জুন রাঙ্গুনিয়া থেকে ১৫ জনের রিপোর্ট পাঠানো হয়েছিল। যাদের মধ্যে ২ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। অন্যজন পৌরসভার সৈয়দবাড়ি এলাকার ৪৮ বছর বয়সী পুরুষ। তবে যোগাযোগ করা হলে তারা দাবী করেন নমুনা দেওয়ার পর থেকে তারা হোম আইসোলেশনে ছিলেন এবং এখন পুরাপুরি সুস্থ আছেন।
অন্যদিকে গত ২০ জুন রাঙ্গুনিয়া থেকে ২০ জনের নমুনা সংগ্রহ হয়েছিল। শনিবার (২৭ জুন) তাদের মধ্য থেকে ২ জনের নমুনা পজিটিভ আসে। তারা হলেন দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নের ধামাইরহাট এলাকার ৩০ এবং বেতাগী ইউনিয়নের ২০ বছর বয়সী পুরুষ।
নতুন এই ৪ জন সহ রাঙ্গুনিয়ায় মোট করোনা সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা এখন ১০৭ জন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা ও করোনাবিষয়ক ফোকাল পারসন মো. ফোরকান উদ্দিন সিকদার এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
রাঙ্গুনিয়া থেকে এ পর্যন্ত মোট ৬০৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪৯০ জনের নমুনার ফলাফল পাওয়া গেছে। ১১৪টি নমুনার ফলাফল এখনো মেলেনি।
রাঙ্গুনিয়ায় মোট করোনা শনাক্ত ১০৭ জনের মধ্যে এ পর্যন্ত মোট ৬৪ জন সুস্থ হয়েছেন। হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ৩১ জন, হাসপাতালে আছেন ৭ জন এবং মারা গেছেন ৫ জন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সুত্র এই তথ্য নিশ্চিত করে।
জানা যায়, নমুনা পরীক্ষার ফলাফল বিলম্ব হওয়ার রেকর্ড শুধু এবারই নতুন নয় আরও বেশ কয়েকবার হয়েছে রাঙ্গুনিয়ায়। এমনকি রাঙ্গুনিয়া থেকে পাঠানো ২৯টি নমুনাও পরিত্যক্ত হয়েছে বলে জানা যায়। এভাবে নমুনার ফলাফল আসতে দেরি হওয়ায় নমুনা দেওয়া লোকজনের বেশির ভাগই বাইরে চলাচল করছেন। এতে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে রাঙ্গুনিয়া জুড়ে।
রাঙ্গুনিয়ায় নমুনা দেওয়া ছাড়া করোনা উপসর্গে মারা যাওয়া রোগীর সংখ্যাও এখন উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলাফেরা তো রয়েছেই। সবমিলিয়ে করোনার অন্যতম হটস্পটে পরিণত হতে যাচ্ছে রাঙ্গুনিয়া। তাই করোনা থেকে বাঁচতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহবান সচেতন মহলের।