[english_date] | [bangla_day]

আরমার খৈয়াম’ র গুচ্ছ কবিতা

নতুন

পৃথিবী-
তোমায় সর্বহারা হওয়ার অভিশাপ দিচ্ছি এই কদরের রাতে
ঘুমন্ত সূর্য আর কতো ভালো লাগে!
নতুন দিগন্তে,
নতুন চোখে,
নতুন বুকে,
উঠুক সেই পুরোনো সুর্য,তাজা তাজা ভাব।
না থাকবে কোন ইতিহাস
না থাকবে কোন লেহক।

একজন নিরপেক্ষ প্রেমিকা হয়ে অরুণ চাঁদ আর তন্দ্রারা থাকবে সর্বত্র-
আঁচলে গেঁথে থাকবে খেজুরের কাঁটা
নীল আয়নায় মুখ দেখবে এবেলার হুর গেলমান সমূদয়।

যৌবনে পড়ে জুয়ো খেলছ নীলা!
আসো তোমার উকুন বেঁছে আঁচড়ে দেই চুল
প্রতিটা বেণীতে খুঁজে নিই নিজেকে-
প্রতিটা আলাদা চুলের আলাদা- আলাদা ঘ্রাণে হারিয়ে যাই
আসো হারিয়ে যাই.

২-
বনেদিআনা

কৈশোর কেটে বুকে চোখে লাবণ্য এসে পড়লেও দৃষ্টি অপরিবর্তিত।
কেনো না প্রেম পঙ্গু নদী
সে সাঁতার শেখে কোমল নদীতে পদ্য লেখে যুদ্ধের।
শুঁড় তুলে বৃংহণ আনন্দমতী পাতলাকানা
ডালিয়া গুঁজে খোঁপা সাজাও
বান আসবে খোঁপার প্রেমে।
প-বর্গের মতো ওষ্ঠ অধর দু’জোড়ার চবচবে শব্দ
যেন নৃশংস নদীর অবগাহন
পরিশ্রান্ত মিনার অন্তঃসত্ত্বা নদী।
সেজদায় পড়েছে সামছ
পাপড়ি স্নাত অশুর
কসরত দিয়ে কি আর পয়দা ঠেকানো যায়?
চিবুকের চাপের বেদনায় মাতৃত্বের স্বাদ
ধসে যাওয়া মোহর দিনার
পিচ্ছিল স্রাব!
সে তো নারীর ভূষণ বনেদি খচ্চর।
সর-খেল সাহেব গমগমিয়ে বলে
ল্যাফ্ট রাইট, ল্যাফ্ট
ল্যাফ্ট রাইট,ল্যাফ্ট…।

৩-
খণা

কালে কালে জন্ম নেয় খণা পুরুষ-নারীসাম্য বেশে
হয়ে যায় জনতার রক্ত কণিকা
নাড়ীর গোরস্থানকে ভালোবাসে নারীর চেয়ে হাজার
কিংবা ভালোবাসার চেয়ে বেশি।
কণ্ঠ হয়ে উঠে খণা চুল
ছিড়ে যায় কলুষিত তন্ত্রের টানে
দাফন করাহয় বক্ষদেশে কবরস্থ হয় মরদের বীর্যে,
ঘুঁচে যায় প্রতিটি ডিম্বানুতে
আবির্ভূত হয় দশক শতক সহস্র পর পর।
সহোদর হারায় সহোদরে খরচ হয় আলফের পর আলফ
এতেও বেঁচে থাকে আশা উত্তপ্ত অনু লাফায়
উত্তপ্ত অনু যুদ্ধ করে
উত্তপ্ত অনু মুক্তি চায়
স্বাধীনতা চায়-
চায় নিজের অধীন হতে।
যেখানে অধীনতা মেখে আছে সেখানে আর মুক্তি কিসের?
অতএব
সে আবার জন্ম নেবে-
সে এবার স্বাধীনতা চাইবে না
লড়ে যাবে মুক্তির জন্যে জিতে যাবে মুক্তি
বুকে মুক্তি উড়িয়ে
নিঃশেষে অবিভাজ্য হবে মুক্ত উত্তপ্ত অনু।

৪-
দারাস

জোনাকি দুটি জ্বলছিল একটি ঠোঁটের পরে
আরেকটি কিছুদূর কেটে হেলেঞ্চার ডগায়।
যখন স্বর্গ কন্যার সাথে হৃদসঙ্গমে লিপ্ত ছিলাম টিয়ার পাখার পাড় ছুঁয়ে যাওয়া রাস্তার উপর বসে
একটি জোনাকি নিভে যায় খানিক বাদে।
দ্বিতীয়টি আঁচড়ায় হৃদয়
ঝি ঝি নেই
পোড়া রুটি মাথার উপর
প্রণয় সত্তার তলে চলে যায় সময়।
অগনিত প্রহর
অগনিত নগর
নহর বয়ে যায় বায়ুমণ্ডলের
দরস দেয় কলমি পাতার কোণায় সন্ধিরত পিঁপড়ের কপোত কপোতী ।
হাঁক আসে বাঁক ভেঙে
আল্লা হু আকবর
আল্লা হু আকবর
চলে যায় মুসল্লি প্রেমের বন্দনায়
চলে যায় পুরোত, ইমাম- কতো ভণ্ড মহাশয়
হাঁটু গেঁড়ে প্রেমিক জনাকির আলিঙ্গন বয়ে যায় কেয়ামত তক বয়ে যায় জন্ম জন্মান্তর।

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

পাঠক প্রিয়