মোহাম্মদ তৌফিকুল হাসান
বাংলাদেশের ব্যাংক খাত বর্তমানে এক গুরুতর অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি। ড. ইউনূস সম্প্রতি দেশের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ব্যাংক খাতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন, তবে তার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ব্যাংক খাতে একটি বড় বিপর্যয় দেখা দিয়েছে যা দেশের অর্থনীতির জন্য একটি বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বর্তমানে দেশের বেশ কিছু শীর্ষস্থানীয় ব্যাংক গুরুতর তারল্য সংকটে ভুগছে। এই ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের টাকা সঠিকভাবে প্রদান করতে পারছে না, যার ফলে সাধারণ গ্রাহকরা তাদের সঞ্চিত অর্থের প্রতি আস্থা হারাচ্ছেন এবং বাজারে এক ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি হচ্ছে। সংকটে থাকা ব্যাংকগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
- ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসি
- ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি
- গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি
- বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক পিএলসি
- ন্যাশনাল ব্যাংক পিএলসি
- বেসিক ব্যাংক পিএলসি
- সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি
- আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি
- ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি
- এক্সিম ব্যাংক পিএলসি
এই ব্যাংকগুলোর অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে গ্রাহকরা তাদের টাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন, যা বাজারে উদ্বেগ ও অস্থিরতা সৃষ্টি করছে।
অন্যদিকে, কিছু ব্যাংক অর্থনৈতিকভাবে তুলনামূলকভাবে ভালো অবস্থানে রয়েছে এবং তারা গ্রাহকদের সেবা প্রদান অব্যাহত রেখেছে। এই ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে:
- পূবালী ব্যাংক পিএলসি
- ডাচ বাংলা ব্যাংক পিএলসি
- ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি
- সিটি ব্যাংক পিএলসি
- প্রাইম ব্যাংক পিএলসি
এই ব্যাংকগুলো তারল্য সংকটের মধ্যে স্বাভাবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে এবং গ্রাহকদের অর্থ সুরক্ষিত রাখতে সক্ষম হচ্ছে। তবে, দেশের ব্যাংক খাতের সামগ্রিক অবস্থার উন্নতি ঘটাতে হলে আরও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।
ড. ইউনূসের নেতৃত্বে ব্যাংক খাতে স্থিতিশীলতা আনতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তবে, সংকট মোকাবেলায় সরকারের পাশাপাশি ব্যাংকগুলোর স্বচ্ছতা, কার্যকারিতা এবং জনসাধারণের আস্থার পুনর্গঠনে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।
দেশের অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠতে এবং ব্যাংক খাতের এই সংকট মোকাবেলায় একটি সমন্বিত প্রচেষ্টা জরুরি। সকল সংশ্লিষ্ট সংস্থার সক্রিয় ভূমিকা ও কার্যকরী পদক্ষেপের মাধ্যমে দেশের ব্যাংক খাতে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে, এটাই আশা করছেন ব্যাংকের গ্রাহকরা।