
মোহাম্মদ তৌফিকুল হাসানঃ নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রামের সড়কে ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সার সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে চলেছে, যা সড়কে শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার জন্য বড় ধরনের হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব অটোরিক্সার নেই কোনো বিআরটিএ স্বীকৃত কাগজপত্র বা রেজিস্ট্রেশন এবং চালানোর জন্য প্রয়োজন হয় না কোনো ড্রাইভিং লাইসেন্সের। ফলে যেকোনো বয়সের ব্যক্তি, এমনকি ৮-১০ বছরের শিশুরাও এই যানবাহন চালিয়ে বেড়াচ্ছে শহরের অলিগলি ও প্রধান সড়কে। বেপরোয়া ড্রাইভিং, ইচ্ছেমতো উল্টোপথে গাড়ি চালানো এবং যত্রতত্র পার্কিং করে যানজটের প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই অটোরিক্সাগুলো। অনিয়ন্ত্রিতভাবে চলাচল করা এসব অটোরিক্সা ইতোমধ্যেই সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হয়ে উঠেছে।
বেশিরভাগ চালক অশিক্ষিত ও উগ্র প্রকৃতির হওয়ায় তারা প্রায়ই সংঘর্ষে লিপ্ত হয় এবং তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলতে গেলে হুমকি দেয়। অভিযোগ রয়েছে, অটোরিক্সা চালকরা স্থানীয় পুলিশ ও নেতাদের প্রতিদিন চাঁদা দিয়ে আসছেন দীর্ঘ সময় ধরে, যা তাদের জন্য সড়কে অনিয়ন্ত্রিতভাবে চলাচলের সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। এ কারণে সড়কে যানবাহনের স্বাভাবিক গতি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
এছাড়া, এই অটোরিক্সাগুলোর ব্যাটারী চালিত হওয়ায় এগুলোর চার্জের জন্য প্রচুর বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয়। বর্তমানে লোড শেডিংয়ের সময়কার বিদ্যুৎ সংকটের মধ্যে এই অটোরিক্সাগুলোর ব্যাটারী চার্জ দিতে গিয়ে অপচয় হচ্ছে অনেক মূল্যবান বিদ্যুৎ, যা জনজীবনে আরও ভোগান্তি তৈরি করছে। পথচারীদের মতে, এ ধরনের বিদ্যুৎ অপচয় ও সড়কে অরাজকতা রোধ করতে হলে প্রশাসনের জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। তারা আরো জানিয়েছেন ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া যানবাহন চালানো বন্ধ করতে কঠোর নজরদারি চালানো এবং বিদ্যুৎ অপচয় রোধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। অন্যথায়, চট্টগ্রামের সড়ক ব্যবস্থায় এই অরাজকতা ও বিদ্যুৎ সংকট আরও মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।