বিশেষ প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশ জাতিয়তাবাদী দল (বিএনপি) চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার খানখানাবাদ ইউনিয়ন শাখার মেয়াদ উত্তির্ণ কমিটিতে আওয়ামীলীগ থেকে রাতারাতি বিএনপিতে যোগ দেয়া দের প্রভাবে এতোদিনের ত্যাগী নেতা কর্মীরা কোনঠাসা হওয়ার শঙ্খায় আছেন- দাবী নেতা কর্মীদের একাংশের।তাদের দাবী বর্তমান মেয়াদ উত্তির্ণ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করতঃ উর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দ অচিরেই ত্যাগী নেতা কর্মীদের মূল্যায়ন করে একটি গ্রহণযোগ্য তৃণমূল বান্ধব কমিটি দিবেন।
ইউনিয়ন বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির সদস্য শওকত ওসমান চিটাগাং মেইল কে জানান- বিগত ১৮ জুলাই ২০২২ খৃষ্টাব্দ খানখানাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির ত্যাগী নেতা কর্মীদের মূল্যায়ন করে জাতীয়তাবাদী আদর্শের একটি ইউনিয়ন কমিটি গঠন করার লক্ষ্যে ৩ মাস মেয়াদের জন্য ৫১ সদস্যের একটি আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেয় থানা বিএনপি’র আহ্বায়– মাষ্টার লোকমান আহমদ ও সদস্য সচিব রেজা চেয়ারম্যান। তৎপরবর্তী অদ্য পর্যন্ত একটা পূর্ণাঙ্গ কমিটি আলোর মুখ দেখেনি অধিকন্তু আহ্বায়ক কমিটি মেয়াদুত্তির্ণ হওয়ায় কার্যত ইউনিয়ন বিএনপির কোন সাংগঠনিক কাঠামো বিদ্যমান নেই। এই সুযোগে বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে আওয়ামী ফ্যাসিবাদি আদর্শের লালনকারী ও তাদের কর্মকান্ড সক্রিয় ভূমিকায় থাকা লোকজন রাতারাতি ইউনিয়ন বিএনপি’র হর্তাকর্তা বনে যাওয়ায় তৃণমূল নেতা কর্মীরা উপেক্ষিত ও কোণঠাসা হয়ে পড়ছে।
ইউনিয়ন বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির অপর এক সদস্য মোঃ হাশেম জানান- ভঙ্গুর সাংগঠনিক অবস্থার সুযোগ নিয়ে দলে অনুপ্রবেশ চলছে এতে ত্যাগিরা কোণঠাসা হয়ে পড়বে এবং অনুপ্রবেশকারীরা দলের কান্ডারী হয়ে যাবে। এই নিয়ে তৃণমূলে ক্ষোভ বিরাজ করছে। উর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দের উচিৎ জরুরী ভিত্তিতে নতুন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করা এবং ত্যাগী তৃণমূলকে যথাযথ ভাবে মূল্যায়ণ করা। অন্যথায় আগামীতে তৃণমূল কর্মীরা দল থেকে ছিটকে পড়বে।
এই বিষয়ে বক্তব্য জানতে খানখানাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক, গিয়াস কামাল চৌধুরীর ০১৭১১০০৬৭১১ নাম্বারে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে নাম্বারটি বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
