ডেক্স রিপোর্ট: বুধবার তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উদ্দেশ্য করে মমতা ব্যানার্জী বলেন ‘বাংলায় যদি আগুন লাগান তাহলে আসামও থেমে থাকবে না’
বিজেপির ডাকা ধর্মঘট ঘিরে জায়গায় জায়গায় উত্তেজনা, পুলিশি ধরপাকড় আর একইদিনে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস অনুষ্ঠানে বিরোধীদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর ‘বার্তাকে’ কেন্দ্র করে বুধবারও উত্তপ্ত পশ্চিমবঙ্গ।
প্রসঙ্গত কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে মঙ্গলবার ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের’ ডাকা নবান্ন অভিযানে ‘পুলিশি অত্যাচারের’ অভিযোগে বুধবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বন্ধের ডাক দিয়েছিল বিজেপি।
রাজ্য সরকারের তরফে মঙ্গলবারই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল ধর্মঘটের কোনও প্রভাব যাতে না পড়ে তার জন্য সচেষ্ট থাকবে প্রশাসন। বুধবার পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণের জন্য মোতায়েন করা হয়েছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী, র্যাফ ও কমব্যাট ফোর্স।
এই ধর্মঘটকে ঘিরে বুধবার সকাল থেকেই কলকাতা ও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অশান্তির খবর সামনে আসে। ধর্মঘটের বিরোধী তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের বচসাও বাঁধে। রেল ও সড়ক অবরোধ করতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়।
এদিনই আবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান থেকে একাধিক ‘বার্তা’ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জী। প্রশ্ন তুললেন ধর্ষণের মতো ঘটনায় দোষীদের ফাঁসি নিয়ে।
মুখ্যমন্ত্রী যেমন ধর্মঘটের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, বিরোধীদের সতর্কবার্তা দিয়েছেন তেমনই কর্মবিরতি থাকা জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়েও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তাদের পেশাগত দায়িত্ব।
মনে করিয়ে দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্ট আগেই তাদের কাজে যোগ দেওয়ার কথা বলেছিল। অন্যান্য রাজ্য কর্মবিরতিতে থাকা জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিলেও তিনি নেননি।