[english_date] | [bangla_day]

শিশুর দাঁত হলুদ হয়ে যায় যেসব কারণে

লাইফস্টাইল ডেস্ক: শিশুর দাঁতে ক্যাভিটির সমস্যা পুরনো বিষয়। বেশিরভাগ শিশুকেই এই সমস্যায় ভুগতে দেখা যায়। অধিকাংশ শিশুর দাঁতে হলুদ দাগ পড়ে যায়। এটি যে কেবল দেখতে খারাপ লাগে তাই নয়, এটি শিশুর দাঁতের জন্য ক্ষতিকরও। শিশুরা নিজের যত্ন নিজে ঠিকভাবে নিতে পারে না। তাই এক্ষেত্রে বাড়ির বড়দেরই শিশুর প্রতি যত্নশীল হতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক শিশুর দাঁত হলুদ হয়ে যাওয়ার কারণ-

১. চকোলেট বা ক্যান্ডি

চকোলেট বা ক্যান্ডিতে অনেক বেশি চিনি বেশি থাকে। এ ধরনের খাবার চিটচিটে হয়। যে কারণে সেগুলো খাওয়ার সময় দাঁতের ফাঁকে আটকে যায়। তাই শিশুকে এ ধরনের খাবার দেবেন না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কাশির সিরাপও দাঁতের ক্ষতি করতে পারে। তাই শিশুকে এ জাতীয় সিরাপ বা ক্যাডবেরি খেতে দিলে তারপর কুলকুচি করিয়ে নেবেন।

২. বেশি আচার খেলে

আচার প্রায় সবার কাছেই পছন্দের একটি খাবার। বিশেষ করে অনেক শিশুই আচার খেতে পছন্দ করে। কিন্তু শিশুকে খুব বেশি আচার খেতে না দেওয়াই ভালো। কারণ এটি শিশুর দাঁতের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। কারণ আচার তৈরিতে ব্যবহার করা হয় ভিনেগার। আর এই ভিনেগার নষ্ট করে দিতে পারে দাঁতের উপরে থাকা এনামেলের আস্তরণকে। তাই শিশু কখনো আচার খেলে এর পরপরই দাঁত ব্রাশ করে নিতে বলুন।

৩. কার্বোনেটেড পানীয়

অধিকাংশ শিশুর কাছেই পছন্দের একটি পানীয় হলো কার্বোনেটেড পানীয়। এ ধরনের পানীয় শিশুর কেবল স্বাস্থ্যের জন্যই নয়, দাঁতের জন্যও ভীষণ ক্ষতিকর। কারণ কার্বোনেটেড পানীয়তে থাকে অ্যাসিড যা এনামেল স্তরের ক্ষতি করে। এছাড়া বেশিরভাগ কোল্ড ড্রিংকসে প্রচুর চিনি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যা শিশুর দাঁতের ক্ষতির পাশাপাশি মেজাজ বিক্ষিপ্ত করে দিতে পারে।

৪. প্রসেসিং করা ড্রাই ফ্রুটস

শিশুরা মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে খুবই পছন্দ করে। কিন্তু তাদেরকে চিনি দিয়ে প্রসেসিং করে তৈরি করা ড্রাই ফ্রুটস কখনো খেতে দেবেন না। এর বদলে কাজুবাদাম, আখরোট, পেস্তা, খেজুর ইত্যাদি খেতে দিন। এগুলো চুলা কিংবা ওভেনে হালকা রোস্ট করে দিন, খেতে ভালো লাগবে আবার ক্ষতিও করবে না।

৫. সস

যেকোনো ধরনের ফাস্টফুড শিশুর পছন্দের খাবারগুলোর মধ্যে একটি। সেসব খাবার আবার বিভিন্ন ধরনের সস দিয়ে খাওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু দাঁতের এনামেল স্তরের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে টমেটো সস ও সয়া সস। শিশুকে এ ধরনের সস খেতে দেবেন না। সেইসঙ্গে বন্ধ করুন ফাস্টফুড খেতে দেওয়াও। এতে শিশুর দাঁত ভালো রাখা সহজ হবে।

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

পাঠক প্রিয়