নিজস্ব প্রতিবেদক: দুই সপ্তাহব্যাপী জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পইন কর্মসূচী আজ ০৫ জুন থেকে শুরু হলো। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বীল মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম. রেজাউল করিম চৌধুরী সদরঘাটস্থ মেমন মাতৃসদন হাসপাতালে শিশুদের ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর মধ্যে দিয়ে আজ শনিবার সকালে এই কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন।
তিনি বলেন, মহানগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের ১ হাজার ২শত ৮৮টি কেন্দ্রে সব মিলিয়ে ৫ লক্ষ ১০ হাজার ৩১ জন শিশুকে এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা ৭৯ হাজার ৭শত ৬১ জন এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা ৪ লক্ষ ৩০ হাজার ২শত ৭০ জন।
উদ্বোধন শেষে সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মরত চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে মেমন মাতৃসদন হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরীর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, সাবেক মেয়র আলহাজ্ব এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরী সিটি কর্পোরেশনের চিকিৎসা সেবা খাতকে নগরবাসীর দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিয়েছিলেন।

স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোকে উচ্চমান সম্পন্ন করেছিলেন। এসব সেবা কেন্দ্রে উপকার ভোগীদের চাপ ছিল কিন্তু সেবা খাতের সেই সুনাম এখন আর নেই। তাই আমার প্রধান কর্তব্যকর্ম হচ্ছে চসিকের স্বাস্থ্য খাতের লুপ্ত সুনাম পুনঃরুদ্ধার করা। চিকিৎসকেরা তাদের দায়িত্ব-কর্তব্য নিষ্ঠার সাথে পালন করলে তাদের সমস্যাগুলো সুবিবেচনায় নেয়া হবে বলে তিনি জানান। তিনি দীর্ঘদিনের ঘাটতি লিফট এর ব্যবস্থা করা হলেও জেনারেটর সহ অন্যান্য চাহিদাও পূরণ করা হবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন।
মেয়র আরো বলেন, চিকিৎসা সেবার ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক ও ব্যবসায়িক গুরুত্বের চেয়ে মানবিক দিকটি অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ। তাই এ বিষয়টি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্টদের মাথায় রাখতে হবে। তিনি চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, করোনা মোকাবেলায় প্রথম ঢেউয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা সম্মুখ যোদ্ধার ভূমিকা পালন করেছেন, অনেকে প্রাণও বিসর্জন দিয়েছেন। এই ভূমিকা দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায়ও পালন করতে আহ্বান জানান।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন প্যানেল মেয়র মো. গিয়াসউদ্দীন, কাউন্সিলর আবদুস সালাম মাসুম, আতাউল্লাহ চৌধুরী, সংরক্ষিত কাউন্সিলর নীলু নাগ, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কান্তি দাশ, ডা. মোহাম্মদ আলী, ডা. শাহীন পারভীন, নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, রেজাউল বারী, মীর্জা ফজলুল কাদের, ডা. রুবেল প্রমুখ।