স্পেশাল করিসপন্ডেন্টঃ করোনা আক্রান্তদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা প্রদানে প্রায় ১ মাস আগে চট্টগ্রামে চালু হয়েছে দেশের প্রথম ৬০ শয্যার ফিল্ড হাসপাতাল। সীতাকুন্ডের ফৌজদারহাট এলাকায় ২১ এপ্রিল থেকে এই হাসপাতাল চালু হয়।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়ার উদ্যোগে নাভানা গ্রুপের দেওয়া একটি দ্বিতল ভবনের ৬ হাজার ৫০০ বর্গফুট জায়গা নিয়ে গড়ে উঠেছে এই হাসপাতালটি। সাথে রয়েছে ১ এক ঝাঁক নিবেদিত প্রান স্বেচ্ছাসেবী।সর্দি, কাশি, হাঁচি ও জ্বরের উপসর্গ নিয়ে আসা সকল রোগীর চিকিৎসা করা হয় এই হাসপাতালে।
হাসপাতালটি সেবা কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া বলেন, ‘জনগণের টাকায় হাসপাতালটি তৈরি হয়েছে। তাই এখানে উদ্বোধনের কিছু নেই। সর্দি, কাশি, হাঁচি ও জ্বর নিয়ে আসা সকল রোগীকে সেবা দেয়া হয়। সবাইকে সুরক্ষিত রেখে কীভাবে চিকিৎসা সেবা দিবো, সেটি নিয়ে আমাদের টিম একটা ডেমো করার মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নিয়েছে।’
সরকারি হাসপাতাল থেকে আসা রোগীদের সেবা দেয়ার পরিকল্পনা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের মতো করে রোগীদের চিকিৎসা করবো। তবে স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রয়োজন হলে অথবা তারা আমাদের জানালে তাহলে আমরা অবশ্যই সেবা দিবো।’
উল্লেখ্য, দ্রুততার সাথে সেবা প্রদানের কাজ শুরু করার জন্য ৫ টি ভ্যান্টিলেটরসহ ১০টি আইসিইউ ও ৫০টি সাধারণ শয্যা দিয়ে হাসপাতালটি প্রাথমিকভাবে চালু হয়েছে। পরবর্তীতে আরো ৫টি ভ্যান্টিলেটর ও ১০টি সাধারণ শয্যা যোগ হয়েছে। চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি এ হাসপাতাল অ্যাম্বুলেন্স ও মাইক্রো বাসের মাধ্যমে রোগীদের যাতায়াত নিশ্চিত করবে এবং এখানে নমুনাও সংগ্রহ করা হবে।
১০০ টাকায় হাসপাতাল অথবা আপনিও হতে পারেন হাসপাতালের মালিক এই স্লোগান নিয়ে ফেসবুক গ্রুপে প্রচারণা শুরু হলে ব্যাপকভাবে সাড়া পাওয়া যায়, ফল স্বরুপ হাসপাতালটি পূর্ণতা পেতে চলছে। চট্টগ্রাম সহ সারা দেশের মানুষের কাছে আশার আলো ছড়াচ্ছে।
ইতিমধ্যে হাসপাতাল পরিদর্শন ও সার্বিক সহযোগিতা করেছেন চসিক মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দিন, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌঃ নওফেল ও আসন্ন চসিক নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী।
এর আগে WHO এর প্রতিনিধি দল হাসপাতালটি পরিদর্শনে এসে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
হাসপাতালে অটোমেটিক জীবাণুনাশক যন্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করেছেন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের বেসরকারি কারা পরিদর্শক আজিজুর রহমান আজিজ।এছাড়াও আরো যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের মধ্যে রয়েছে, আবুল খায়ের গ্রুপ, নাভানা গ্রুপ সহ অনেক ব্যক্তি ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
১৩ মে পর্যন্ত হাসপাতালটিতে সেবা নিয়েছেন মোট ২০০ জন, ভর্তি হয়েছেন ৩৪ জন, ভর্তিকৃত রোগীর করোনা পজেটিভ ২০ জন, সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৪ জন, অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর ৪ জন।
এই ছাড়াও ফোন কলের মাধ্যমে সেবা দেয়া হয় এই হাসপাতালে। হাসপাতালে মানবিক সাহায্য পাঠাতে ও পরামর্শ নিতে যোগাযোগ করতে পারেন এই নম্বরেঃ ০১৩০৯-০৩৪১০০