[english_date] | [bangla_day]

আপনি কি বিয়ের জন্য প্রস্তুত?

লাইফস্টাইল ডেস্ক: বিয়ের জন্য উপযুক্ত বয়স কোনটি? এর উত্তর খোঁজেন অনেকেই। আসলে বিয়ের উপযুক্ত বয়স নির্দিষ্ট করে বলা মুশকিল। এজন্য যে খুব বেশি বয়স হতে হবে, এমন নয়। আবার অল্প বয়সে বিয়ে যে করাই যাবে না এরকমও কোনো কথা নেই। একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর যে কেউ চাইলেই বিয়ে করতে পারে আবার বিয়ে না করেও থাকতে পারে। কে কোন বয়সে বিয়ে করবে এটি তার সিদ্ধান্ত। বিয়ে করার জন্য যে সবকিছু গুছিয়ে নিতে হবে, এমনও নিয়ম নেই। মানসিক প্রস্তুতি থাকলেই বিয়ের জন্য প্রস্তুত হওয়া যায়।

অল্প বয়সে বিয়ে করার ভালো এবং মন্দ দিক

আজকাল অনেক বিয়ের পরিণতি হচ্ছে ডিভোর্স। সেজন্য বেশিরভাগ মানুষই বিয়ে করতে ভয় পান। বিষয়টি বিবেচনা করে সবাই কম বেশি অল্প বয়সে বিয়ে করা এড়িয়ে চলে। সাধারণত বিয়ে করার জন্য তাড়াহুড়া করে এমন মানুষ কমই আছে। দিনশেষে যার সঙ্গে সারাজীবন পার করবেন তার সঙ্গে কয়েকটা বছর আগে থেকে পার করলে কিন্তু জীবনটা মন্দ নয়। তাছাড়া অল্প বয়সে বিয়ে করার বেশ কিছু সুবিধাও রয়েছে। ভালোবাসার মানুষকে যেকোনো সময়ই বিয়ে করাই যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কীভাবে বুঝবেন আপনি বিয়ের জন্য প্রস্তুত-

১. মোহ এবং ভালোবাসার পার্থক্য জানা

মানুষ একে অপরের প্রতি মুগ্ধ হবে এটাই স্বাভাবিক। তাই বলে সেটাকে ভালোবাসার নাম দিলে তো চলবে না। মানুষ যেকোনো বয়সেই মোহতে পড়তে পারে এবং চিন্তা করে যে ইনিই তার ভালোবাসার মানুষ। কিন্তু এটি বাস্তবতা নয়। যখন এই পার্থক্য টা বুঝতে পারবেন সেদিন বুঝবেন আপনি বিয়ের জন্যে প্রস্তুত।

২. বিবাহিত জীবনের দায়িত্ববোধ জানা

বিয়ে করার পর যে দায়িত্ববান হতে হয় সেই বিষয়েও খেয়াল রাখতে হবে। সারাদিন আড্ডা দিয়ে বাসায় ফেরার চিন্তাভাবনা বদলাতে হবে। সারাজীবন একজন মানুষের সঙ্গে থেকে তাকে কীভাবে খুশি রাখা যায় সেই বিষয়ে ভাবতে হবে। এটি যেকোনো বয়সেই কঠিন। অভিজ্ঞতা না থাকলে এক্ষেত্রে বিশেষ মনোযোগের প্রয়োজন। তাই বিবাহিত জীবনের দায়িত্ববোধ জানা থাকলেই বুঝবেন বিয়ের জন্যে তৈরি।একদম।

৩. অতিরিক্ত প্রত্যাশা নয়

জীবন পরিপূর্ণ করানো কিংবা প্রাণবন্ত রাখার দায়িত্ব পুরোটাই জীবনসঙ্গীর নয়। বিয়েই সব সমস্যার সমাধান এই ধারণা ভুল। যদি বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন তবে প্রথমে সেই সমস্যাগুলোর সমাধান করা প্রয়োজন। আপনার সফলতা বা নিরাপত্তার সঙ্গে বিবাহিত কিংবা অবিবাহিত থাকার তেমন কোনো সম্পর্ক নেই। নিজেই নিজের পাশে থাকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এর সঙ্গে আপনার সঙ্গীর সমর্থন পেলে তা আরও বেশি ভালো। তবে না পেলেও হাল ছাড়া যাবে না।

৪. পর্যাপ্ত সময় দেওয়া

সঙ্গীর সঙ্গে কঠিন বিষয়ে সহজে কথা বলার মতো মানসিকতা থাকতে হবে। মাঝে মধ্যে ঝগড়া করাটাও স্বাভাবিক, তবে সব সময় একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা এবং শেষ পর্যন্ত মানিয়ে নেওয়ার মন মানসিকতাও থাকতে হবে। যতই প্রেম থাকুক না কেন সঠিক সংযোগের অভাবে সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। তাই সঙ্গীকে পর্যাপ্ত সময় দেওয়ার সুযোগ থাকলে বুঝবেন আপনি বিয়ের জন্য প্রস্তুত।

৫. মূল্যবোধ বজায় রাখা

বিয়ে করার জন্য পুরনো শখ বা আনন্দ উপভোগ করা যাবে না এমনটা নয় বরং একইসঙ্গে ধর্মীয় নীতি মেনে সন্তান এবং পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর ইচ্ছাও রাখতে হবে। দায়িত্ববোধ আনতে হবে যাতে করে পরিবারের সবার সঙ্গে জীবন কাটানো যায়। মানসিকভাবে এমন প্রস্তুতি থাকলে বুঝবেন আপনি বিয়ের জন্য প্রস্তুত।

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

পাঠক প্রিয়