[english_date] | [bangla_day]

ব্রেকআপের পর মাত্রাতিরিক্ত মানসিক চাপে ভুগছেন?

লাইফষ্টাইল ডেস্ক: সময়ে সঙ্গে সঙ্গে মানুষের জীবনধারায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। এক যুগের যে মানুষ পাথরে পাথর ঘষে আগুন জ্বালিয়ে বেঁচেছে, তারাই এখন মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ ছাড়া বেকার। খাওয়া-দাওয়া থেকে জীবনযাপন সব কিছুতেই এসেছে আমূল পরিবর্তন। এর যেমন ভালো দিক রয়েছে তেমনই রয়েছে খারাপ দিকও।

সবমিলিয়ে মানুষের জীবনে বেড়েছে মানসিক চাপ। কালের নিয়মে বদলেছে মানুষের প্রেমের ধরনও। আজকাল সম্পর্কে চিড় ধরতে সময় লাগে না বেশি। আর এই হৃদয় ভাঙার যন্ত্রণা আপনাকে শুধু মানসিকভাবেই না, শারীরিক ভাবেও বিধ্বস্ত করে দিচ্ছে। আপনার কি প্রেম ভেঙেছে? ইমোশানাল স্টেস গ্রাস করছে ক্রমশ? হতে পারে হার্টের একাধিক সমস্যা।

হ্যাঁ, এমনই অবাক করা তথ্য তুলে ধরছেন বিশেষজ্ঞরা। বেশি স্ট্রেস অজান্তেই ক্ষতি করছে হার্টের। কারণ স্ট্রেস বেড়ে গেলে শরীরে ক্যাটেকোলামাইনস নামক হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে। যার ফলে আমাদের শরীরে অক্সিজেনের চাহিদা বেড়ে যায়। আর এই বাড়তি অক্সিজেনের জোগান দিতে গিয়ে চাপ পড়ে হার্টের ওপর। খুব স্বাভাবিকভাবেই ক্ষতি হয় হার্টের। শুধু তাই-ই নয়, ক্রমাগত মানসিক চাপ বাড়তে বাড়তে একসময় রক্তচাপও বৃদ্ধি পায়। এর এর ফলে হার্টের আকারেরও পরিবর্তন ঘটতে পারে। শুধু তাই-ই নয় এতে হার্টবিটের ছন্দের মধ্যেও অস্বাভাবিকতা আসে।

মানুষ যদি প্রবলভাবে স্টেস নিয়ে থাকেন তবে, করোনারি ধমনিতে হার্টে পর্যাপ্ত পরিমাণে রক্ত জোগান দিতে পারেন না। যার ফলে বুকে ব্যথা শুরু হয়, যাকে মায়োকার্ডিয়াল ইসচেমিয়া বলে।

এছাড়া হার্টবিট অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেলে মস্তিষ্কের মধ্যে রক্ত জমাট পর্যন্ত বেঁধে যেতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘদিন ধরে মানসিক চাপ বা ইমোশ্যানাল স্ট্রেস গ্রাস করলে স্ট্রেস হরমোন ক্ষরিত হয়, যা রক্তে শর্করা, কোলেস্টেরল, টাইগ্লিসারাইডের পরিমাণকে অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়ে দিতে পারে।

অতিরিক্ত মানসিক চাপ মানুষকে সমাজের স্বাভাবিক স্রোত থেকে দূরে ঠেলে দেয়। একফলে মানুষ ক্রমশ একা হয়ে পড়েন, আপনজনদের সঙ্গে মেলামেশা বন্ধ করে দেন। এতে ঘুম কমে যায়। শুধু তাই-ই নয়, অনেকে আবার এই সমস্যার শিকার হয়ে অত্যধিক ফাস্টফুড জাতীয় খাবার খাওয়া শুরু করেন। যার সরাসরি প্রভাব পড়ে শরীরের ওপর।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

পাঠক প্রিয়