[english_date] | [bangla_day]

সীতাকুণ্ড পৌরসভার মেয়র হলেন নৌকার বদিউল আলম

সীতাকুন্ড প্রতিনিধি:  সীতাকুণ্ডে পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ১০ হাজার ৮২৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে মেয়র পদে নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান মেয়র আলহাজ্ব বদিউল আলম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৭২ ভোট। এছাড়া মোবাইল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।

সোমবার ২৮ ডিসেম্বর সকাল ৮টা থেকে ভোট শুরু হয়ে বিকেল পর্যন্ত চলে। এরপর ভোট গণণা শেষে বেসরকারি ভাবে জয়ীদের নাম জানা যায়। এছাড়া নির্বাচনে নতুন দুই জন কাউন্সিলর ছাড়া বাকি সবাই পুরাতন কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন।

বিজয়ী কাউন্সিলর প্রার্থীরা হলেন, আনোয়ার ভুঁইয়া, বদিউল আলম জসিম, শামসুল আজাদ (বিএনপি), হারাধন চৌধুরী বাবু, শফিউল আলম মুরাদ, দিদারুল আলম এপোলো, ফজলে এলাহী পায়েল, মফিজুর রহমান, জুলফিকার আলী শামীম।

এদিকে দিনভর নির্বাচনে ছিল উত্তেজনা। এরমধ্যে ইভিএম ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া ককটেল বিস্ফোরণ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এর মধ্যে বিকেলে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী (মোবাইল প্রতীক) জহিরুল ইসলাম সংবাদ সম্মলন করে নির্বাচন বর্জন করার ঘোষণা দিয়েছেন। দুপুর সোয়া ১টার সময় ৭নং ওয়ার্ডের আলম শফি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইভিএম মেশিন ভাংচুর করা হয়। এসময় কেন্দ্রের বাইরে বেশ কয়েকটি ককটেল বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সকালে পৌরসদরের ৫নং ওয়ার্ডের কলেজ কেন্দ্রের বাইরে অবস্থানরত বিএনপি প্রার্থীর সমর্থকদের ধাওয়া করে বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলী জাহাঙ্গীরসহ তার লোকজন। ৬নং ওয়ার্ডের হাই স্কুল কেন্দ্রে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এছাড়া তেমন কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটনি।

নির্বাচনে নতুন ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দেন। প্রতিটি কেন্দ্রের ভিতর বাইরে ম্যাজিস্ট্রেট এর সাথে আনসার, পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবির উপস্থিতি ছিল লক্ষ্য করার মতো।

সীতাকুণ্ডের সহকারী রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ বুলবুল আহম্মদ বলেন, ইভিএম মেশিন ভাংচুর করা হয়। ডাটা কার্ডটি অক্ষত থাকায় মেশিনের মধ্যে ডাটা সংরক্ষিত ছিল। দশ মিনিটের মধ্যে আরেকটি মেশিন দেওয়া হয়।

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn

সর্বশেষ খবর

পাঠক প্রিয়